২৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট

২৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জরুরি সভা শেষে এ কথা জানানো হয়।

বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ২৯ তারিখ যে কর্মসূচি করব এটা হলো আমাদের সংগ্রাম, এই সংগ্রাম চলবেই। আগামী ২৮ তারিখ মহানগর নাট্যমঞ্চে জেএসডির কাউন্সিল আছে। স্যার (ড. কামাল হোসেন) সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। ওখান থেকেই শুরু হবে আন্দোলন। ২০১৮ সালে যে ভোট ডাকাতি হয়েছে ২৯ তারিখ আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করবো। এরপর যদি হামলা করে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে চলতে থাকবে।

এসময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২৮ তারিখ রোববার যে সম্মেলন হবে সেখান থেকেই ঘোষণা হবে। সেখানে ড. কামাল হোসেন থাকবেন, আমরা থাকবো, বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকল নেতৃবৃন্দ থাকবে। একজন সংবিধান রচনা করেছেন আরেকজন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছেন। ওইদিন স্বাধীনতার ঝাণ্ডা উড়ানো হবে।

তিনি বলেন, রব ভাইয়ের ২৮ তারিখের প্রোগ্রামে বক্তৃতায় আমরা আমাদের আন্দোলনের কথা বলবো এবং আমরা সেখানে বলব আমাদের কর্মসূচিতে যেন কোনো বাধা না দেয়া হয়। পুলিশ বাধা দিলে আমরা কোনো বাধা মানবো না। আমরা আমাদের দাবির কথা বলব এবং এজন্য বৃহত্তর আন্দোলনের প্রয়োজন হলে আমরা তাই করব।

২৮ তারিখ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে কর্মসূচি করতে চাচ্ছে এতে পুলিশের কোনো অনুমতি চাওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

ভোট হয়েছে ৩০ তারিখ তবে ২৯ তারিখ কর্মসূচি কেনো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কোনো ভোট হয়নি, ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে এজন্য আমরা ২৯-৩০ দুই দিনই কর্মসূচি রাখবো।

এসময় আব্দুর রব বলেন, ২৯ তারিখের প্রোগ্রামে কোনো বাধা দিলে ৩০ তারিখ প্রোগ্রাম হবে, ১ তারিখে হবে ২০২০ সালের সারাবছর আন্দোলন চলবে।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো রব, মান্না ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, শহিদুল্লাহ কায়সার, জি এস ডি সিরাজুল ইসলাম, শাহ আহমেদ বাদল ও জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।