চুল ঘন ও মজবুত করতে যেসব খাবার খাবেন

চুল ঘন ও মজবুত করতে যেসব খাবার খাবেন

ছবি: সংগৃহীত

বায়ুদূষণ, খাদ্যে ভেজাল, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং বেশ কয়েকটি রোগের কারণে চুল ঝরে যেতে পারে। শরীর থেকে চুল যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাড় করতে না পারে, তাহলে মাথায় কেবল তেল-শ্যাম্পু দিলেই চুল পড়া বন্ধ হয় না। খাবার গ্রহণের মাধ্যমে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে হবে। তাই মজবুত ও ঝকঝকে চুলের জন্য অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ, শাক, ডিম, মিষ্টি আলু প্রভৃতি।

চীনাবাদাম ও কাজুবাদাম চুলের জন্য বেশ উপকারী। এতে পর্যাপ্ত ক্যালরি ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা পেশি ও হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি চুল সুস্থ রাখে। ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক। চুলের জন্য আরো প্রয়োজন হয় ভিটামিন ‘বি’, ম্যাগনেশিয়াম, দস্তা ও ভিটামিন ‘ই’। এগুলো বাদামে উচ্চমাত্রায় থাকে। এ ক্ষেত্রে কাজুবাদাম, আখরোট ও নারকেল তেল ত্বক এবং চুলের কোষের জন্য প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এ খাবারগুলো চুলকে ময়েশ্চারাইজ ও চকচকে রাখে। নারীদের জন্য দিনে কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। সামুদ্রিক চর্বিযুক্ত মাছ এ অভাব পূরণ করতে পারে।

সবুজ শাক ও পাতাজাতীয় শাকগুলো লৌহের বড় উৎস। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে লৌহ থাকে, যা চুল ঘন করতে সহায়ক। শাক শরীরে আয়রন বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’-এর চাহিদা পূরণ করে। এ ছাড়া শাকে থাকা কারটিন ফাইবার চুলে ফাইবার তৈরিতে সহায়তা করে।

প্রোটিন ও বায়োটিনের একটি বড় উৎস ডিম, যা স্বাস্থ্যকর চুল ও চুলের বৃদ্ধি উভয় কাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টির বিপাক করতে এনজাইমগুলোকে সহায়তা করে। এতে চুলের ফটিকগুলো পুষ্টি পায়। মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি৬’ চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। মিষ্টি আলুর ভিটামিন ‘এ’ মাথায় নতুন চুল গজাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।