ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়

ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়

ছবি: সংগৃহীত

শিশুদেরকে আজকাল খোলা মাঠে বা পার্কে নিয়ে যাওয়ার মতো সময় নেই কারো। একা একা যাওয়ার মতো সুযোগও নেই তাদের। তাই প্রাকৃতিক পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ থেকে আজকের শিশুরা বঞ্চিত। তাদের এখন শৈশব কাটে বদ্ধঘরে স্মার্টফোনে, টিভিতে কিংবা কম্পিউটার গেমসের ভেতরে।

অথচ এই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সাথে শিশুদের সময় কাটানো যে কতটা ক্ষতিকর তা নিয়ে বর্তমানের বাবা-মায়েরা খুব কমই ভাবেন। না ভাবার কারণ এর বিরূপ ফলাফল এখনো চাক্ষুষমান হয়ে ওঠার সময় হয়নি। স্মার্টফোন, টিভি বা কম্পিউটারের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ সন্তানের শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ- এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে এখনো তারা কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি।

হু-এর এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যত বেশি সময় শিশুরা টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ও স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাইয়ের আওতার মধ্যে সময় কাটাবে, ততই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থাৎ শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ওই নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে- টিভির পর্দা নয়, শিশুদেরকে খেলার মাঠে ছেড়ে দিন এবং সেটাই তাদের জন্য উপযুক্ত স্থান।

তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের যত বেশি করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে (দৌড়ঝাঁপ ও খেলাধুলা) নিযুক্ত রাখা যাবে, ততই তাদের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশ পরিপূরক ও স্বাভাবিকভাবে ঘটবে।

হু-এর এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা দিনে বড় জোর এক ঘণ্টা টিভি বা কম্পিউটারের সাথে সময় কাটাতে পারে। এর বেশি হলেই বাড়বে বিপদ। তাই প্রত্যেকটা শিশুর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্দেশিকা স্মরণ রাখা প্রত্যেক মা-বাবার জন্য অত্যন্ত জরুরি।