বাংলাদেশ বিশ্ব পোশাক বাজারে দ্বিতীয় : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ বিশ্ব পোশাক বাজারে দ্বিতীয় : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

 নতুন দেশগুলোর চাহিদা মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাহলে নতুন বাজার ধরা সহজ হবে। তাছাড়া, ব্যবসার প্রসার বাড়ানো ও দরকষাকষির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরও উদ্যোগ নেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯ উদযাপন ও বহুমুখী বস্ত্র মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর আজ থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিনদিনের বহুমুখী বস্ত্র মেলা শুরু হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ খুব অল্প টাকায় বায়ারদের কাছে পোশাক (পার পিচ) বিক্রি করে। বায়াররা প্রত্যেকটা পণ্যে এক ডলার করেও যদি দাম বাড়াত, তাহলে বোধহয় বস্ত্র খাতটাকে আরও উন্নত করতে পারতাম। আমাদের যারা পণ্য রপ্তানি করে তারা এই বার্গিনিংটা করেন কি না, সেটা বলতে পারব না। আমি যখন যে দেশে যাই সেখানে তুলে ধরি কিন্তু আমি একা তুলে ধরলে হবে না। আপনারা যারা ব্যবসা করেন তাদেরও বোধহয় একটু উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটা যেন এগিয়ে যায় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।

এরইমধ্যে প্রায় ১৬টি বন্ধ টেক্সটাইল মিল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপে (পিপিপি) চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। দুটি বন্ধ মিল পিপিপি’র আওতায় চালু করতে দু’টি দেশের (দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) সঙ্গে জিটুজির পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য কাজ করেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এটা হলে পরে মিলগুলো চালু করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ এখন বিশ্ব পোশাক বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একই জিনিসের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। রপ্তানি পোশাকের ক্ষেত্রে তার ডিজাইন, রং বা সবকিছুই কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়। আমি জানি যে, যারা কিনতে আসে (বায়ার) তাদের চাহিদার উপরেই নির্ভর করে। তারপরও আমাদের নিজস্ব একটা উদ্যোগ থাকা উচিত। সেটা হল নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা। কোন বাজারে ঢুকতে পারি। কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি। কোন ধরনের পোশাক বা ডিজাইনের চাহিদা বেশি। সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের উৎপাদনকে বহুমুখীকরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করি।

সংশ্লিষ্টদের কিছু স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, আমি আশা করি আপনারা এই ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং গ্রহণ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। কারণ  যেকোনো পণ্য বাজারজাত করতে গেলে পণ্যের বৈচিত্র্য একান্তভাবে দরকার।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। এসব অঞ্চলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, আমরা যা উৎপাদন করি সেখানে কি কি কাঁচামাল ব্যবহার করে পণ্য উপাদন করতে পারি এবং সেসব পণ্য কিভাবে বাজারজাত করতে পারি সেদিকে নজর দিতে হবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।