প্রোটিন ও ফাইবার পেতে খেতে পারেন রাগি

প্রোটিন ও ফাইবার পেতে খেতে পারেন রাগি

রাগের খাবার

রাগি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ জনপ্রিয় একটি শস্য। অনেক জায়গায় এটি মানুষের প্রধান খাদ্য। রাগির কিছু স্বাস্থ্য সুবিধার কারণ হলো এটি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, লোহা এবং খনিজ সমৃদ্ধ।

আপনি নানাভাবে খেতে পারেন রাগি। যেমন রাগি  চিলা, রাগি পোরিজ, রাগি দোসা, রাগি চাপোট্টি, রাগি আপমা ইত্যাদি।

রাগির কয়েকটি স্বাস্থ্য সুবিধা নিচে দেওয়া হলো:

১। ওজন কমানো
রাগিতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার উপাদান আপনাকে বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। দীর্ঘ সময় ধরে এটি আপনার পেটকে ভরে রাখবে। এতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান রয়েছে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন হ্রাসে সাহায্য করে। তাই, ওজন হ্রাসে রাগিকে গম ও চালের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

২। স্বাস্থ্যকর হৃদযন্ত্র
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখতে রাগি আটা অত্যন্ত কার্যকর। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম হার্টবিট এবং নার্ভ ফাংশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদযন্তের পেশির কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে পটাসিয়াম। এতে থাকা ফাইবার উপাদান এবং অ্যামিনো অ্যাসিড থেরোনিন লিভারে চর্বি জমতে দেয় না এবং শরীরের কোলেস্টেরল কমায়।

৩। স্বাস্থ্যকর হাড়
রাগিকে ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে বড়া অ-ডায়েটারি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ক্যালসিয়াম হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখার জন্য একটি অপরিহার্য খনিজ। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওপরোসিসের আক্রমণ প্রতিরোধ করে।

৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ মাত্রার ডায়েটারি ফাইবার এবং পলিফেনলস থাকার কারণে রাগি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। চাল এবং গমের মতো অন্যান্য শস্যের তুলনায় রাগিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এটি হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনে।

৫। প্রোটিন সমৃদ্ধ
রাগি প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এতে রয়েছে ভ্যালাইন, থ্রিয়োনাইন, ইসোলিউসিন, মেথিওনিন এবং ট্র্রিপটোফ্যানের মতো প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যা পেশির কর্মকাণ্ডকে সচল রাখে, বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে, রক্তের ​​গঠনে সাহায্য করে, দ্রুত ওজন কমায়, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৬। হজমে সাহায্য করে
হজমে সহায়তার মাধ্যমে রাগি পেটের রোগ নিরাময় করে। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে এবং শরীর থেকে বর্জ্য বের করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পাচক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে রাগি।