শিশুর জন্য টেলিভিশন নয়

শিশুর জন্য টেলিভিশন নয়

ছবি:সংগৃহীত

 টেলিভিশন কম দেখতে দিন। কারণ টিভির পর্দার চলন্ত ছবি শিশুর মস্তিষ্ক ও মনকে নির্দিষ্ট বিন্দুতে আটকিয়ে রাখতে পারে না। অথচ একটি শিশুর বুদ্ধির বিস্তার ও প্রখরতা বাড়াতে তার মনকে স্থির রাখতে হবে। শুধু শিশুই নয়, যে কোনো মানুষের বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য একাগ্রচিত্ত বা ধ্যানের প্রয়োজন পড়ে।

বুদ্ধি ও জ্ঞানের গভীরতা বাড়ে একাকিত্বের মধ্যেই। কোনো জটলার মধ্য থেকে জ্ঞানের গভীরতা বাড়ানো যায় না। আমাদের নবী করিম সা: হেরা পর্বতের গুহায় বছরের পর বছর ধরে একাগ্রচিত্তে ধ্যান করেছেন।
ধ্যানের প্রতিশব্দগুলোর নামই হলো মোরাকাবা, মেডিটেশন, সমাধি, অধ্যাবসায় প্রভৃতি। পৃথিবীর যত জ্ঞানী, গুণী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক বা মহামানব রয়েছেন, তাদের সবাই জীবনের কোনো না কোনো একটা সময় ধ্যান করেছেন।

হোক সেটা গহীন অরণ্যে, নিজের ল্যাবরেটরিতে কিম্বা গভীর নিশিথে প্রার্থনা কক্ষে মগ্ন থেকে। শিশুরা যখন একাগ্রচিত্তে কোনো একটা কিছু করতে চেষ্টা করে, তখন তাকে কোনো ক্রমেই সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়া ঠিক নয়। শিশুদের জন্য এটাই এক ধরনের ধ্যান এবং বুদ্ধি বিকাশের মোক্ষম সময়।

শিশুর ‘কিছু একটা করা’ মানেই সে তার নিজের বুদ্ধিটাকে শানিত করার কাজে নিয়োজিত রাখা। এ সব বিষয় অবশ্যই বাবা-মা এবং শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে। এ কারণে শিশুকে মেধাবী করে গড়ে তুলতে বাবা-মা ও শিক্ষকের ভূমিকা অতুলনীয়।