হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন বাংলাদেশের

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের কাছে প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় ইতিমধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে গেছে বাংলাদেশ। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন নিয়ে সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন টাইগাররা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে দুদলের লড়াই।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ৫ ও ৯ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করেও বোলারদের নৈপুণ্যে লড়াই করেছিলেন টাইগাররা। শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিততে হয় পাকিস্তানকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ।

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৬ রান করতে সক্ষম হন সফরকারীরা। সেটি টপকাতে বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের। অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের হাফসেঞ্চুরিতে ২০ বল বাকি রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। বাবর ৪৪ বলে ৬৬ এবং হাফিজ ৪৯ বলে ৬৭ রান করেন।

সদ্য সমাপ্ত ‘বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলে ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ব্যাটসম্যানরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেননি। বড় জুটি বা বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন তারা। বোলাররাও ব্যর্থ ছিলেন উইকেট শিকারে।

দুটি ম্যাচেই একই উইকেটে খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে ব্যাপক। দেশটির সাবেক খেলোয়াড়রাও সমালোচনা করতে ভুল করেননি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য সাধারণত পাওয়ার প্লে কিংবা ডেথ ওভারে বড় স্কোর গড়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বা ডেথ ওভারে রান তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাতে বড় সংগ্রহ পাননি টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান পায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।

তামিম-নাইম পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারায় বড় সংগ্রহের ভিত পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে তামিমই বড় স্কোর করেন। দুই ম্যাচে তার রান ছিল যথাক্রমে – ৩৯ ও ৬৫ । তবে বেশ ধীরলয়ে রান তুলেন তিনি, যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে।

দুই ইনিংসেই রান আউট হন তামিম। যাই হোক বাংলাদেশের পক্ষে দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে একমাত্র তিনিই ধারাবাহিক ছিলেন। অন্য ব্যাটসম্যানরা বিপিএলের ফর্ম এখানে দেখাতে পারেননি। তবে প্রথম দুই ম্যাচের স্মৃতি ভুলে জয় দিয়ে পাকিস্তানের প্রথম পর্ব শেষ করতে মরিয়া লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

লাহোরে বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করা এবং ভালো কিছু নিয়ে সফর শেষ করার সময় এসেছে। পাকিস্তান আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা মাঠে কিছু ভুল করেছি। প্রথম ম্যাচে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর ও হাফিজ ভালো ক্রিকেট খেলে আমাদের লড়াই থেকে ছিটকে দেয়। আশা করছি, এদিন আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব এবং জিততে পারব।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন অবধি ১২ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তানের জয় ১০টি। বাংলাদেশের জয় ২টি। তাই এদিন জিতে পাকিস্তানের সঙ্গে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর সুযোগ থাকছে মাহমুদউল্লাহদের সামনে। সুযোগ থাকছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোরও।