বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের মধ্যে শক্তিমত্তার পার্থক্য

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের মধ্যে শক্তিমত্তার পার্থক্য

শ্রীলংকা-বাংলাদেশ খেলার দৃশ্য

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে লম্বা সময় ধরে শ্রীলঙ্কা ছিল এক ভয়ংকর প্রতিপক্ষ।

সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকেও শ্রীলঙ্কার দলটা এমন এক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যেন বাংলাদেশ যোজন-যোজন দূরের এক দল।

তবে গেল ৩-৪ বছরে দৃশ্যপট বদলেছে।

বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছে মোট ৭টি ম্যাচ, হেরেছে ৩৬টিতে।

বাংলাদেশের এই সাত জয়ের তিনটি ২০১৭ সাল থেকে।

যার মধ্যে আছে ২০১৮ সালে ১৬৩ রানের জয় এবং একই বছর এশিয়া কাপে ১৩৭ রানের জয়।

সংখ্যার এই ব্যবধান বলছে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান কমে আসছে দ্রুতই।

তবে এগুলো সবই ইতিহাস ও পরিসংখ্যান।

আজ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুদল মুখোমুখি হবে ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডের মাঠে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায়, বাংলাদেশের দুপুর তিনটা ৩০মিনিটে।

শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ব্যাটিং

নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশের ব্যাটিং সন্তোষজনক।

বিশেষত সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বাংলাদেশের ইনিংসগুলো।

সাকিব এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

তিন ম্যাচ খেলে সাকিব আল হাসান ২৬০ রান তুলেছেন, দুটো অর্ধশতক ও এক ম্যাচে ১২১।

মুশফিকুর রহিম তুলেছেন তিন ম্যাচে ১৪১ রান।

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সেরা ব্যাটসম্যান এই টুর্নামেন্টে কুশল পেরেরা।

যিনি ২ ম্যাচে করেছেন ১০৭ রান।

আফগানিস্তানের বিপক্ষেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামে।

৯২ রানে এক উইকেট যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কা ২০১ রানে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বোলিং

এখনও পর্যন্ত কঠিন কোন পরীক্ষার সামনে পড়েনি শ্রীলঙ্কান বোলিং লাইন আপ।

তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ লড়াই করে জিতেছে প্রদীপ-মালিঙ্গা।

নুয়ান প্রদীপ ইনজুরির কারণে এখন শঙ্কায়।

পেস বোলারদের তালিকা শ্রীলঙ্কা দলে বেশ লম্বা। এদের মধ্যে আছেন - সুরঙ্গ লাকমাল, লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ, ইসুরু উদানা, থিসারা পেরেরা।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও আছেন সিমারদের তালিকায়।

আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ছয়জন সিমার নিয়ে খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা।

ওদিকে বাংলাদেশের বোলিং ছিল উত্থান-পতনের মধ্যে।

শুরুতে ৩৩০ ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতে নেয়।

দ্বিতীয় ম্যাচে হারলেও প্রশংসা পায় বোলিং।

বিশেষত ওভালের উইকেটে ২৪৪ রান করে প্রতিপক্ষকে চাপের মুখে রাখে শেষ পর্যন্ত।

স্বভাবতই স্পিন নির্ভর বোলিং বাংলাদেশের এখনো পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন এখানেও সাকিব আল হাসান।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব বল হাতে ব্যর্থ হন, সাথে দলের ওপরও সেই প্রভাব পড়ে।

শেষ পর্যন্ত ৩৮৬ রান হজম করে বাংলাদেশ, এর আগে ইংল্যান্ডই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯১ রান তোলে। সেটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ যেকোন দলের।

বাংলাদেশের পেস বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান শুরুটা বেশ ভাল করেন। ৩ উইকেট নেন ৬৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

সাইফুদ্দিনও শুরুর দিন গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট দেন। যদিও ইকোনমি রেট ছিল সাতের ওপর।

অধিনায়ক মাশরাফী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ ওভার বল করে ৪৯ রান দেন।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সাইফুদ্দিনের বোলিং ছিলো প্রভাবশালী। ৪১ রানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন তিনি।

তবে মূল পরীক্ষার সামনে পড়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

এদিন মাশরাফী ১০ ওভার বল করে ৬৮ রান দেন এক উইকেটের বিনিময়ে।

সাইফুদ্দিন ও মুস্তাফিজ দুজনই এই ম্যাচে ওভার প্রতি আটের ওপর রান দেন।