বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি, নিহত ১৫

বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি,  নিহত ১৫

ফাইল ফটো

বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কোস্টগার্ড বলছে, উদ্ধার করা যাত্রীদের বেশির ভাগই নারী। তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।

কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাইম উল হক বলেন, মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরবর্তী সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনা স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনের মৃতদেহ এবং ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।

তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ডের পাশাপাশি নৌবাহিনীর একটি জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটিতে আরও লোকজন রয়েছে।’

নাইম উল হক জানান, টেকনাফের কোনো একটি পয়েন্ট থেকে দুটি ট্রলারে করে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। একটি ট্রলার ডুবে গেলেও অপরটির সন্ধান মিলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ট্রলারটি বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে থাইল্যান্ডের দিকে যাচ্ছে।

এদিকে, উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে বের হয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।

টেকনাফের কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সোহেল রানা বলেন, ট্রলারটিতে ১২০ জনের মতো যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।