ব্রাজিলে রহস্যময় ইয়ারা ভাইরাসের সন্ধান

ব্রাজিলে রহস্যময় ইয়ারা ভাইরাসের সন্ধান

ছবি: সংগৃহীত

চীনের মরণব্যধি ভাইরাস করোনায় অক্রন্তের সংখ্যা বাড়ছে অধিক মাত্রায় । সারা বিশ্বেজুড়ে তোলপাড়  সৃষ্টি হয়েছে এ নিয়ে। হাজার পেরিয়ে গেছে মৃত্যুর সংখ্যা । এবার খবর এলো আরেক অচেনা ভাইরাসের। রহস্যময় এই ভাইরাস আগে কখনো দেখে যায়নি ।চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। গবেষকরা এ ভাইরাসের সাথে কোন জিনই   মেলাতে পারছে না। এ রহস্যময় ভাইরাসে ধরা পড়েছে ব্রাজিলে । তার নাম দেওয়া হয়েছে ইয়ারা ভাইরাস।এক পৌরানিক মৎস্যকন্যার নামে নামকরণ করা হয়েছে এই ভাইরাসের। এই ভাইরাসের ৯০ শতাংশই চেনা নয় গবেষকদের।

এই ভাইরাসের সঙ্গে কিসের সম্পর্কে আছে, তা বিজ্ঞানীদের কাছে স্পষ্ট নয়। ব্রাজিলের ফেডেরাল ইউনিভার্সিটিতে এই নিয়ে চলছে গবেষণা। এই প্রথম এই ধরনের একেবারে অজানা ভাইরাস পাওয়া গেল বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে কোনো জিনই মেলাতে পারছেন না গবেষকরা। অন্যদিকে, চীনে একটু আশার খবর হলো, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ওই ভাইরাসের নতুন নামকরণ হয়েছে। COVID-19 নামে এই মারণ অদৃশ্য হামলাকারীর পরিচিতি হয়েছে। মঙ্গলবার ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু। জেনেভায় হু সদর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই নাম ঘোষণা হয়েছে।

 করোনা ভাইরাসে সোমবার শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশেই ১০৩ জন মারা গেছেন। একদিনে এত মানুষ মারা যাওয়ার একটা নজির। সবমিলে ১১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হু প্রধান তেদরোস আদহানম গ্যাব্রিনাস জানান, নতুন এই ভাইরাস এখন থেকে কভিড-১৯ (COVID-19) নামে পরিচিত হবে। তিনি বলেন, দ্রুত এই ভাইরাস না প্রতিরোধ করা গেলে সমূহ বিপদ বিশ্বজুড়ে।

এদিকে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংক্রামিত রোগী যে হারে বাড়ছিল তাতে মন্থর গতি এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তবে এতে স্বস্তির কিছু নেই। কারণ করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ এর মারাত্মক প্রভাব চীনে দেখা গিয়েছে। এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। দ্রুত এটা দমন করা না গেলে বিশ্ব জুড়ে মহামারি হবেই।

চিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রোববারের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। সংখ্যায় সেটা আগে ছিল ৩০৬২ জন এখন ২৪৭৮ জন।
সূত্র : বিবিসি