অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর

অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করা  স্বাস্থের জন্য  ক্ষতিকর

ছবি: সংগৃহীত

মাংসপেশী মজবুত ও দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ কারো কারো জন্য নিতান্তই ক্ষতিকর। এমনকি মৃত্যুর কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে। অতিমাত্রায় প্রোটিন খেলে দেহের ‘ইউরিয়া সাইকেল’ ডিজঅর্ডার হয়ে যায়। এতে সারাক্ষণ কান্তবোধ হয় এবং মস্তিষ্কের জন্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রোগী তখন অস্পষ্টতা ও কনফিউশনে ভোগে। এক পর্যায়ে কোমায় নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় তার।
অতিরিক্ত হাই প্রোটিন গ্রহণের ফলে:

১. শরীরের বিপাক প্রক্রিয়ায় বাই-প্রডাক্ট হিসেবে অ্যামোনিয়া তৈরি হয়। এতে দেহের অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

২. একেকজনের শরীরে প্রোটিনের প্রভাব একেকভাবে পড়ে। তবে লিভার ও কিডনির রোগীদের প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি।

 ৩. বডি বিল্ডার, দুধপান করানো মা, গর্ভবতী, সার্জারির রোগীদের প্রোটিন খাওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিশারদরা সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন।

 ৪. অতিরিক্ত প্রোটিন বা কার্বোনেটযুক্ত খাবার শরীরে সহজে হজম হয় না। এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

 ৫. অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে কিডনিকে অতিরিক্ত বর্জ্য শরীর থেকে বাইরে পাঠাতে হয়। এতে কিডনি একপর্যায়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া হচ্ছে কি না তা বুঝতে হলে কিছুটা সচেতনতাই যথেষ্ট। যেমন এ ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসে উদ্ভট গন্ধ হয়। ভালোভাবে ব্রাশ করার পরও যদি সেই গন্ধ না যায়, তাহলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে শরীরের ওজন একপর্যায়ে বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রোটিন খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে ওজন ঠিক রাখতে হয়। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দৈনন্দিন জীবনে প্রোটিন গ্রহণের একটি মাত্রা নির্ধারণ করে নেয়া উচিত।