করোনাভাইরাস: কাঁকড়া শিল্প ধংসের পথে

করোনাভাইরাস:  কাঁকড়া শিল্প ধংসের পথে

ছবি: সংগৃহীত

চীনে করোনাভাইরাসের প্রভাবে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাগেরহাট,সাতক্ষীরা,খুলনা জেলায় কাঁকড়া শিল্পে ধস নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরে ঘেরে থাকার কারণে কাঁকড়াগুলো মরে যাচ্ছে। বিশেষ করে ডিমওয়ালা মা কাঁকড়া বেশি মারা পড়ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঘেরের ৭০ শতাংশ কাঁকড়া মারা গেছে।

ব্যবসায়ী ও চাষিরা বলছেন,  ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের কাঁকড়া মারা গেছে। আর চীনে রপ্তানি করা কাঁকড়ার মূল্য বাবদ অনেক ব্যবসায়ীর কোটি টাকা পর্যন্ত আটকা পড়েছে। এই অবস্থায় কাঁকড়া রপ্তানির জন্য নতুন আন্তর্জাতিক বাজার খোঁজার দাবি করছেন তারা।

বাগেরহাট,সাতক্ষীরা, খুলনায় গিয়ে দেখা যায় ঘেরের পাড়ে স্তুপ করে রাখা হয়েছে মৃত কাঁকড়া। চাষিরা ঘের থেকে কাঁকড়া তুলে পাড়ে ফেলছেন।

একইভাবে বাজারে কাঁকড়া ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে, কাঁকড়ার ঝুড়ি প্রায় শূন্য। বাজারে কাঁকড়ার সরবারহ নেই বললেই চলে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, লাভজনক হওয়ায় বাগেরহাট,সাতক্ষীরা,খুলনা জেলার চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝোঁকেন। এতে মৎস্য বিভাগও উৎসাহিত করায় একের পর এক ঘের ও চাষির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই জেলাগুলোতে সাধারণত দু’ভাবে কাঁকড়া চাষ হয়। এরমধ্যে সুন্দরবন ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন নদী-খাল থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করে ঘেরে মজুত রাখা হয়। এছাড়া বাচ্চা কাঁকড়া ঘেরে ছেড়ে বড় করা হয়। এখানকার কাঁকড়া দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার দখল করে নিয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরে কাঁকড়ার বড় বাজার তৈরি হয় চীনে। সাম্প্রতিক চীনের করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

রপ্তানি বন্ধ থাকার কারণে ঘেরের শতকরা ৭০ ভাগ কাঁকড়া মারা গেছে। আর যা আছে তাও কয়দিন থাকলে মারা যাবে। চলমান পরিস্থিতিতে জেলাগুলোতে  এই শিল্পের সাথে জড়িত ৫০ হাজার ব্যবসায়ী, জেলে এবং শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।