খুলনায় স্কুলশিক্ষক হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় স্কুলশিক্ষক  হত্যা  মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা নগরীর খালিশপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলশিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।  আজ রবিবার (৮মার্চ)  খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম খান এ রায় দেন । একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কাজী মুরাদ, কাজী ফরহাদ হোসেন, মো. জাকির, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো ও সাইফুল। এদের মধ্যে মো. জাকির পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম ও কাজী মাসুম নামে দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

স্কুলশিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার ছেলে। তিনি  ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকালে নিখোঁজ হলে ৮ই সেপ্টেম্বর মামলা করেন তার বাবা।ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামি সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগীরা ২৮ আগস্ট রাতে তয়নকে হত্যা করে মরদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন। সাইফুলের দেখানো মতে ওই ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আসামি সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামি কাজী মুরাদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা জানান, তারা দুইজনসহ আরো কয়েকজন মিলে তয়নকে হত্যা করেন।

জবানবন্দিতে কাজী ফরহাদ হোসেন, কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো, কাজী মাসুম ও মো. জাকিরের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ পরে মো. জাকির ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান সাতজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে উল্লেখিত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।