সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কমান্ডার নিহত

সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কমান্ডার নিহত

ছবি:সংগৃহীত

ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরহাদ দাবিরিয়ান শুক্রবার সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন। কিন্তু কিভাবে তিনি নিহত হন, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তাকে দামেস্কের সাইয়েদা জয়নবের মাজারের সুরক্ষাকারী আখ্যায়িত করেছে ফার্স নিউজ। মধ্য সিরিয়ার প্রাচীন শহর পালমিরার একজন সাবেক কমান্ডার ছিলেন ফরহাদ।

সিরিয়ায় ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনির প্রতিনিধির পাশেই গার্ডস কমান্ডারের ইউনিফর্মে দাবিরিয়ানের ছবি প্রকাশ করেছেন ফার্স। তবে ফার্স নিউজ এটা নিশ্চিত করেনি তিনি ইরানের কুদস বাহিনীর সদস্য ছিলেন কিনা। সাধারণত যারা ইরানের বাইরে কাজ করে তারা কুদস বাহিনীর সদস্য।

সিরিয়ায় গত ৯ বছরের গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হয়ে ইরাক, লেবানন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের শিয়া ছায়া গোষ্ঠী লড়াই করছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, বিপ্লবী গার্ডসের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য দক্ষিণ দামেস্কের সাইয়েদা জয়নব এলাকায় আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন।

সিরিয়ান অবজারভেটরি আরো জানায়, দাবিরিয়ান লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। যারা পালমিরারে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল। রাশিয়া, ইরান ও হিজবুল্লাহর সহয়তায় সিরিয়া গত বছর ‍দুয়েক ধরে যুদ্ধের মাঠে নিজের বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। যার ফলে দামেস্ক এলাকা অপেক্ষাকৃত শান্ত। যদিও প্রায় সময় ইরানপন্থী সেনাবাহিনীর উপর ইসরাইলি হামলা চালানো হয়।

ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর দুই মাস পরে দাবিরিয়ানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এটা কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর পর শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিতীয় কোনো বিল্পবী কমান্ডারের মৃত্যুর সংবাদ। এর আগে গত মাসে আসগর পাশাপুর নামে একজন সিনিয়র কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন।

ইয়েমেনে কুদস ফোর্সের শীর্ষ নেতা আবদুলরেজা শাহলাই জানান, সোলাইমানিকে যে রাতে হত্যা করা হয় সে রাতে তাকেও টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কুদস ফোর্সের এই কমান্ডারের মাথার মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করা হয়েছিল। ডেইলি সাবাহ ও রেডিও ফারদা।