ইবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের ছাত্রত্ব বাতিল দাবি কর্মীদের

ইবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের ছাত্রত্ব বাতিল দাবি কর্মীদের

ছবি : সংবাদাতা

নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ছাত্রত্ব বাতিল করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শাখার পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা একটায় এ দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাত করে এ দাবি করেছেন তারা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে শিক্ষক বাণিজ্যের মূল হোতা, প্রগতিশীল সংগঠনে ভাঙন সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপ কমিটির আহবায়ক থেকে বাদ দেওয়া ও সকল প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যহতির দাবিও করেন নেতাকর্র্মীরা। একইসাথে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উত্থাপিত াভিযোগের তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান নেতারা।

শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু, তৌকির মাহফুজ মাসুদ, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন, সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দীকী আরাফাতের নেতৃত্বে দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা বিপুল খান, আলামিন জোয়ার্দারসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে নেতাকর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সাথে সাক্ষাত করে দাবির কথা জানান। এসময় উপাচার্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ^াস দিয়েছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্পাদক রাকিব নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থেকে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি যেন তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। আমরা কেন্দ্রের কাছেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। ড. মাহবুবের বিষয়ে বলেন, তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকা ও প্রগতিশীল সংগঠনের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করা সহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাকে মুজিব বর্ষ পালনের মতো অনুষ্ঠানে দায়িত্বে রাখা যেতে পারেনা।

উল্লেখ্য, নেতা হয়ে আসার দেড় মাসের মধ্যেই গত অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রাইভার নিয়োগ নিয়ে সম্পাদক রাকিবের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। যেখানে ড্রাইভার নিয়োগ নিয়ে এক ব্যক্তির সাথে তাকে দেন দরবার করতে দেখা যায়। পরে ৪০ লাখ টাকায় নেতা হয়ে আসার আরেকটি অডিও ফাঁস হলে ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা।