পুরো দেশ লকডাউন করা উচিত: হাইকোর্ট

পুরো দেশ লকডাউন করা উচিত: হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপি এক মহামারির আকার ধারণ করেছে।চীনের উহানপ্রদেশ থেকে শুরু হয়ে এখণ বিশ্বের প্রায় ১৮৮ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।বাংলাদেশেও এতিমধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে   হাইকোর্ট  এক পর্যবেক্ষণে বুধবার বলেছে, প্রাণঘাতী  ও মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাস নিয়ে  উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র সমাধান হচ্ছে দেশ লকডাউন করা।

এ ভাইরাসকে জাতীয় শত্রু আখ্যা দিয়ে হাইকোর্ট বলে, করোনা মোকাবিলায়  মুক্তিযুদ্ধের সময় দলমত নির্বিশেষে যেমন সকলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এখনও সেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের ওপর আস্থা রাখতে হবে। যেসব নির্দেশনা দেবে তা মেনে চলতে হবে।

সারা দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ দেন।

রিটকারী  আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব বলেন, ‘আদালত আমাদের রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে বলেছেন, করোনাভাইরাস জাতীয় শত্রু। করোনা মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

আদালত আরও বলেছে, তাইওয়ান চীনের পাশের দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা কীভাবে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে সেই মডেলটি অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক সমস্যা। যেহেতু এখনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই এর একমাত্র সঠিক সমাধান হিসেবে পুরো দেশ লকডাউন করা উচিত।’

 এ পর্যবেক্ষণের পর রিটটি নিষ্পত্তি করে দেয় আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব।

এর আগে করোনা পরীক্ষার জন্য বিশেষ ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে গত ১৮ মার্চ রিটটি দায়ের করেছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর দেশে এ ভাইরাসে প্রাণ গেছে ৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।