বিপন্ন মানবতার আমিও একজন যখন

বিপন্ন মানবতার আমিও একজন যখন

ফাইল ছবি

ভাবছি। নিজেকে নিয়ে, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-স্বজন তথা গোটা দুনিয়া নিয়ে। প্রশ্ন, জীবন আসলে কী? এক অনির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডীতে ঘটে যাওয়া কিছু কাজ ও কথার সমষ্টিমাত্র। মাত্র দু‘টি জিনিস ‘কথা‘ আর ‘কাজ‘। এ দু‘টি উপাদান সুন্দর হলেইতো জীবন সুন্দর হয়ে যায়! কিন্তু না, মানুষ তা নিজে করতে পারেনি। মানুষের মহান রবকে সেজন্য পাঠাতে হয়েছে নবী-রাসূল ও কিতাব। তাঁরা এসেছিলেন মাটির পৃথিবীতে মাটির মানুষকে, মানুষের মত করে চলতে শেখাতে, বলতে শেখাতে। আর ‘মৃত্যু‘ হলো চূড়ান্তভাবে কর্মফললাভের প্রবেশদ্বার। অবস্থাভেদে এটি হতে পারে কাঙ্ক্ষিত অথবা ভীতিকর। সর্বাবস্থায় মৃত্যু একটি কঠিন মুহুর্ত। ‘করোনা‘ নামক ভাইরাস গোটা মানবতাকে একত্রে করেছে বিপন্ন, মানুষের গড়া বিভেদের সকল দেয়াল চুরমার করে দিয়েছে, জড়ো করেছে হিমশীতল মৃত্যুদুয়ারে। এখনই সময় জীবন-মৃত্যুর মালিকের নিকট বেশি করে দারস্থ হওয়ার। এটিই হয়তো শেষ সুযোগ আমার কথা ও কাজকে ‍সুন্দর করে মহান রবের সাথে সাক্ষাতের প্রস্তুতি নেয়ার। কুরআন বলেছে, “আর নিশ্চয়ই আমরা ভীতি, অনাহার, প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে এবং উপার্জন ও আমদানী হ্রাস করে তোমাদের পরীক্ষা করবো ৷ এ অবস্থায় যারা সবর করে এবং যখনই কোন বিপদ আসে বলে, “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে, —তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দাও ৷ তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের ওপর বিপুল অনুগ্রহ বর্ষিত হবে, তাঁর রহমত তাদেরকে ছায়াদান করবে এবং এই ধরণের লোকরাই হয় সত্যানুসারী ৷“ (০২:১৫৫-১৫৭) আমাদের দু‘আয় তাদেরকে শরীক করতে যেন ভুলে না যাই, যাদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান, পরিজনেরা জেনে শুনে মানুষের সেবায় নিবেদিত থাকার নিরন্তর সাহস যোগাচ্ছেন অর্থাৎ আমাদের চিকিৎসকগণ। একই সাথে গোটা দুনিয়ায় বিপন্ন মানুষের সেবায় নিয়োজিত গবেষক, সরকার, সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সকলের জন্যই প্রাণখোলা দু‘আ করা অপরিহার্য নয় কী? আর ক্ষমা করে দেই পরস্পরকে। লেখক: ড. মীর মনজুর মাহমুদ