সারা দেশে বেড়ে গেছে খুন ধর্ষণ

সারা দেশে বেড়ে গেছে খুন ধর্ষণ

খুন ও ধর্ষণ বেড়েছে

 

সারা দেশে খুন ওি ধর্ষনের ঘটনা বেড়ে গেছে। এরমধ্যে শিশু ধর্ষন ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে শুধু শিশু খুন হয়েছে ২০৩ জন। ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ৬৩০টি। এর ধারাবিাহিকতা চলছে। বরগুনায় প্রকাশ্য রাস্তায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার রেশ না কাটতেই মাগুরায় এক তরুণ ক্রিকেটারকে একইভাবে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে রাজধানীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়।

মাগুরা পৌর এলাকার শিবরামপুর মর্ডান মোড়ে রোববার দুপুরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে লিসান (১৭) নামের ওই কলেজছাত্র ও ক্রিকেটার নিহত হন। এ সময় দিপু আহসান (১৮) নামে তার এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়। লিসান আঠারখাদা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আহতকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি) মো: তারিকুল ইসলাম জানান, রোববার বেলা ১টার দিকে কলেজ ছুটির পর লিসান তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। ফেরার পথে মডার্ন মোড়ের শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে ওঁৎ পেতে থাকা সোহেল এক নামে এক দুর্বৃত্ত লিসানের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনে বসা দিপু ঠেকাতে গেলে তার বাম হাতেও কুপিয়ে পালিয়ে যায় সোহেল। আহত অবস্থায় তাদেরকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক লিসানকে মৃত ঘোষণা করে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘাতক সোহেল শিবরামপুর গ্রামের টিপু মোল্ল্যার ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, সোহেলের বাবা টিপু ও চাচা লিপু আগে যশোরে বসবাস করতেন। সেখানে বিভিন্ন অপরাধের সাথে তারা জড়িয়ে পড়েন। ১৫ বছর আগে তারা গোপনে মাগুরায় চলে আসেন। এখানেও তারা বিভিন্ন বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। প্রায়ই পুলিশ তাদের পরিবারের কাউকে না কাউকে আটক করে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান।
এদিকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় ছুরিকাঘাতে শাওন (১৮) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শাওন (১৭) ও দুদু মিয়া (১৮) নামে অপর দুই কিশোর আহত হয়। গত শনিবার রাতে গেণ্ডারিয়ায় হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। শাওনকে আহত অবস্থায় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে গেণ্ডারিয়া এলাকায় একটি স্কুলের পাশে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে শাওন নামের দুই কিশোর ও দুদু মিয়া ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে আহত এক শাওন ও দুদু মিয়াকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা শাওনকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠান। 
গেণ্ডারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি গতকাল সকালে জানতে পেরে শাওনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কাছ থেকে ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা করছে পুলিশ। নিহত শাওন শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা হারুন অর রশিদের ছেলে। 
সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে গতকাল অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম হোসেন মিয়া (১৬)। সে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের নগরকোণ্ডা নয়ানগর এলাকার আব্দুল আহাদের ছেলে। হোসেন মিয়া স্থানীয় কোণ্ডা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে নিজ বাড়ির একটি কক্ষের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাভার মডেল থানার এসআই নূর মোহাম্মদ জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।