শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা রোগীর মৃত্যু

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা রোগীর মৃত্যু

ছবিঃ সংগ্রহীত

শরীয়াতপুর সদর হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য করা আইসোলেশনে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারা গেছেন। মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ১৯শে মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ২৩শে মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যান।

আইসোলেসনে থাকা ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন এমন সন্দেহকে উড়িয়ে দিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমেদ খান বলেন, আসলে ব্যাপারটা গুজব। গত ১৯ মার্চ থেকে সে সদর হাসপাতালে একজন টিবি রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে অবস্থা খারাপ হতে থাকলে আমরা তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করি। তার বিদেশিদের সংস্পর্শে আসার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আমরা আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করেছি।

তারা বুধবার এ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ওই ব্যক্তির আশপপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্র একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি একজন শ্রমিক। দীর্ঘদিন যাবত যক্ষ্ম রোগে ভুগছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তার বাড়ির আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।