আজহারের রায় যে কোনো দিন

আজহারের রায় যে কোনো দিন

এটিএম আজহার

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে আপিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে বুধবার তার জবাব দিয়েছেন আজহারের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য রেখেছেন। এখন যে কোনো দিন রায় দেয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এটিএম আজহারের খালাস চেয়ে আপিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। বুধবার সকালে তার জবাব দেয়া হয়েছে।

২ জুলাই এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কালে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, এই ঘটনার প্রধান নায়ক বর্বর পাকিস্তান আর্মি। তাদের মধ্য থেকে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছিল। তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে দীর্ঘদিন পর সহযোগী আসামী হিসেবে এই আসামীর বিচার ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।

এটিএম আজহারের পক্ষে আইনজীবীরা আরো বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন ’৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ নির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের সাথে এটিএম আজহার জড়িত মর্মে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর যে তিনটি চার্জে এটিএম আজহারকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে তার মধ্যে ২নং চার্জে দুজন সাক্ষী বলেছে ৬ কিলোমিটার ও সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। আর ৪নং চার্জের সাক্ষী বলেছেন, তিনি ও এটিএম আজহার একই ক্লাসে পড়তেন। কিন্তু ডকুমেন্ট থেকে দেখা যায় এটিএম আজহার আর্সের ছাত্র এবং সাক্ষী সাইন্সের ছাত্র ছিলেন। আর তাদের দুই জনের সেকশন ভিন্ন ছিল।

গত ১৮ জুন এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিলো। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদন্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে এটিএম আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠারমূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।