সকল পরিস্থিতিতে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে হবে

সকল পরিস্থিতিতে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে হবে

ছবিঃ সংগ্রহীত

সুখের সময়ে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে ভুলে যাই, মত্ত থাকি জাগতিক সুখে। আবার দুঃসময়েও আমরা এতটাই বিচলিত হয়ে যাই যে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে ভুলে যাই।

আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে জীবনটা সব সময় নিজের ইচ্ছে মতো নাও চলতে পারে। আসতে পারে দুঃসময়। দুঃসময় নিয়ে নানান জন নানা রকম ভাবেন, বলেনও নানা রকম কথা। নিজেকে সান্তনা দিতে করেন ভুল চেষ্টা।

 
দুঃসময়টাকে আমরা কপালের দোষ, যোগ্যতার অভাব, কেউ ভাবেন- কেন এমন হলো, কি ভুল করেছি, কি দোষ করেছি, ভেবে যান নিজস্ব ধারায়। কেউ বা মনে করেন এমনটা হয়েছে অন্যের দোষে, যে যার মতো ভাবি।

শুধু যে দুঃসময় আসলেই আমরা খেই হারিয়ে ফেলি তা নয়, সুসময়েও আমরা নেতিবাচক ভাবনায় নিজের জীবনকে বিষিয়ে ফেলি। ভাবতে থাকি প্রাকৃতির দুর্যোগ আসতে পারে, দেশের অর্থনৈতিক ধস নামতে পারে, হতে পারে রাজনৈতিক অস্থিশীলতা। আরো কতো কি ভাবনায় নিজের ক্ষতি নিজেই করি।

অনেকেই ঈর্ষা কাতর হয়ে নিজেকে অসুখি করে ফেলি। আমি আমার প্রাপ্য অর্জন করতে পারি নি, খারাপ লোক পারছে, অলস লোক পারছে।

ভবিষ্যতের সঞ্চয় নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে সম্পদ অর্জন না করতে পেরে আবার কেউবা সঞ্চিত সম্পদ হাড়ানোর ভয়ে, নানা রকম অনিশ্চয়তায়, একসময় দুশ্চিন্তার প্রতি আসক্তি তৈরি হয়ে যায়, পেয়ে বসে দুঃশ্চিন্তা। নানা রকম চিন্তায় এক সময় নিজেকে নিজেই উত্তেজিত করে দিশে হারা হয়ে যাই। নিজের জীবনকে নিজেই জটিল করে ফেলি। ভুলে যাই ধৈর্য্য ধরতে, ভুলে যাই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে।

অথচ মেনে নিতে হবে আমাদের দুঃসময় আসতেই পারে, ভাবতে হবে- কিভাবে বিপদ কাটিয়ে উঠা যায়। সাহায্য চাইতে হবে সৃষ্টিকর্তার কাছে।

বিপদ কাটিয়ে উঠার জন্য কাজ করতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। প্রথমেই আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের  মনকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা না থাকাটাই স্বাভাবিক, মন নিয়ন্ত্রনের জন্য কি কি করা যায় জানুন। সে অনুযায়ি কাজ করুন। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যতক্ষন সম্ভব দূরে থাকুন, সময় দিন নিজেকে। সুখ খুঁজুন পরোপকারের মাঝে। ভাবতে হবে আপনি সুখে আছেন, খোঁজে নিতে হবে কি কি কারনে আপনি সুখি।

আমরা আস্তিকরা তো জানি, বিশ্বাস করি ভাল-মন্দ সব সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রনে। দুঃসময়ের পরে সুখ আসবে, পেতে পারি অনেক ভালো কিছু। আমাদের উচিৎ সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধারণ করে নিজের স্বাধ্য মত কাজ করে যাওয়া। বিশ্বাস রাখা আমার জন্য ভালো কিছু অবশ্যই আছে, ভালো সময় আসছে।

সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পাঠিয়েছেন ফিরে যাওয়ার জন্যই, যতদিন পৃথিবীতে আছি ততদিন তার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে গেলে জীবনটা সুখের হবেই মরনের পরেও অবশ্যই ভালো কিছু পাবো।