করোনাভাইরাস: সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

করোনাভাইরাস: সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

ছবিঃ সংগ্রহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।  এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার চলমান সাধারণ ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পাঁচটি নির্দেশনা পালনের শর্তে ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিধি-৪ শাখা) কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞপনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে।  পরে তা দুই দফায় বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।  এবার চতুর্থবারের মতো ছুটি বাড়ল।

এ ছুটি অন্যান্য সাধারণ ছুটির মতো বিবেচিত হবে না।  ছুটিকালীন পাঁচটি নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে।  অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।

‘সন্ধ্যা ছয়টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না।  এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হলো জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানী, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নি প্রয়ােজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে অফিসসমূহ খােলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখতে পারে বিরাজমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।

আরও বলা হয় জনগণের প্রয়ােজন বিবেচনা ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।