আমার অনূভবে রমাদান-৪

আমার অনূভবে রমাদান-৪

ফাইল ছবি

রমাদানের অনালোচিত একটি পরিচয়- এটি বিজয়ের মাস। মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ১২টি এসেছে এ মাসে। তন্মধ্যে- বদর ১৭ রমাদান ২হি, মক্কা বিজয় ২৩ রমাদান ৮হি, খন্দক ও তাবুক যুদ্ধের সূচনাও ছিল রমাদানে, তারিক বিন যিয়াদ র.-এর স্পেন (আন্দালুস) বিজয় ২৮ রমাদান ৯৩হি, মুহাম্মাদ বিন কাশিম-এর সিন্ধু বিজয় ২০ রমাদান ৯৪হি, সালাউদ্দীন আইউবী র.-এর জেরুজালেম বিজয়, হিত্তিন-এর যুদ্ধ রমাদান ৫৮৩হি, আইনজালুতের যুদ্ধ ২৫ রমাদান ৬৫৮হি: ইত্যাদি। অবশ্য ১৪৫৩ খ্রি অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ কর্তৃক কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) বিজয়ের পর উম্মাহর জীবনে আর কোনো বিজয় আসেনি।

একদিকে করোনায় বিপন্ন পৃথিবী আর অন্যদিকে রহমাতসিক্ত রমাদানে ভাবছি- আমাদের ছোট্ট পৃথিবীতে কেমন আছি? ভালো আছি তো? উত্তর ‘না’ হলে কে দায়ী? যেখানে কেবলই স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, বাবা-মা আর অন্য সকলকে নিয়ে বসবাস। ভাবতে পারেন! গোটা দুনিয়ার শান্তি-নিরাপত্তার সিপাহসালারদের একি দশা? আসুন না! আজকের সৌর্য-বীর্যহারা মুসলিম হিসেবে নিদেনপক্ষে ছোট্ট পৃথিবীটাকে এ রমাদানে বাসযোগ্য করি। বিশ্বাস করুন, আমি আপনিই যথেষ্ট। একটু মনোযোগী হই। উদ্যোগ নিই। লক্ষ্য নির্ধারণ করুন- Let`s enlighten our tiny world. এজন্য কেবল ঐ ছোট্ট পৃথিবীটাতে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করতে হবে। হীনমন্যতা ঝেড়ে, গৌরবময় ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দিই- “বিশ্বজোড়া খ্যাতিভরা অতীত আমার সামনে রাখি, গতকালের আর্শিতে মোর নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি”। (চলবে)

ড. মীর মনজুর মাহমুদ