করোনাভাইরাস কোনো ভয়ানক রোগ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাস কোনো ভয়ানক রোগ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবিঃ সংগ্রহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যে রোগ হচ্ছে, তা ভয়ানক রোগ বলে মানতে নারাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এটা তেমন কোনো ভয়ানক রোগ বলে আমি মনে করি না। করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে তেমনভাবে মৃত্যু ঘটাচ্ছে না।

বুধবার মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে চিকিৎসক ও নার্সদের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনারা মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবেই ডাক্তার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাস তেমন কোনো ভয়ানক রোগ বলে আমি মনে করি না, অন্তত বাংলাদেশে এই ভাইরাস তেমনভাবে মৃত্যু ঘটাচ্ছে না। আড়াইশ ব্যক্তি এই ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। কিন্তু এটা আমরা বলতে পারি, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। যেখানে এই একই সময় ইউরোপে ২০/৩০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে সেখানে মৃত্যু ও আক্রান্ত অনেক কম।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হচ্ছে এই ভাইরাস প্রতিরোধে অনেকে কাজ করছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়সহ অনান্য সহযোগী মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে আমরা আলাদা হাসপাতাল তৈরি করেছি যেখানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা হয়। আপনারা জানেন, ঢাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি জেলায়, ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে কমিটি করা হয়েছে। যার ফলে দেশের অনান্য স্থানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। আমরা চাই এই ভাইরাস যেন আর বিস্তার লাভ না করে।’

মাত্র ১০ দিনে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের দিনে স্মরণ করছি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, তার পরিবারের সব সদস্যকে যারা শহীদ হয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ২০০০ ডাক্তার এবং ৬০০০ নার্স নিয়োগ দিতে সক্ষম হচ্ছি। এর জন্যে সব থেকে বেশি যাকে ধন্যবাদ দিতে হয়, তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের বাইরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২৫০০ জন। আর বাকি সব আক্রান্ত ঢাকা বিভাগে। এখানেই বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে লোকও বেশি, কর্মকাণ্ড বেশি যার ফলে এখানে আক্রান্ত বেশি হয়েছে।’

চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করবেন। নন কোভিড রোগীর চিকিৎসাও আপনাদের করতে হবে। চিকিৎসার মধ্যে কোনো তফাৎ করা যাবে না, সবাই রোগী। আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, করোনায় প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। অনেকের মধ্যে কোনো লক্ষণও দেখা যায় না। এই রোগে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। স্বাভাবিক চিকিৎসাতেই তারা ভালো হয়ে যায়।’