আমার অনূভবে রমাদান- ৮

আমার অনূভবে রমাদান- ৮

ছবিঃ সংগ্রহীত

গৃহবন্দী রমাদান। স্বাভাবিক ব্যস্ততার মাঝে স্মৃতির এ্যালবাম থেকে কিছু ছবি উপভোগ করছি- যা শব্দহীন ভাষায় আমায় নিরন্তর প্রেরণা যোগায়, শাসন করে আর মনজিলের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়। সত্যিই, ছবিগুলো কথা বলছে ! হ্যাঁ, তার দু‘একটি আজ বলছি। রমাদানের ইফতার-সাহরি, তারাবীহ, জামাতের সালাতগুলোর সুখস্মৃতিগুলো উপভোগ করছি। যে মায়ের হাতে সাহরী-ইফতার খেয়েছি, বাবার হাত ধরে আল্লাহর ঘরে ছুটে গেছি আর সেখানে মুরুব্বি-স্বজনদের আদরে আপ্লুত হয়েছি। ও রব! সে বাবা-মা কেউই নেই, স্বজনেরা অধিকাংশই আজ তোমার কাছে। তাদের জন্য তোমার কাছে কী চাইতে পারি বলতো? হ্যাঁ, তোমার দয়ার চাদরে ভালোবাসা দিয়ে তাঁদেরকে মুড়িয়ে রেখো। ও রহমান! ও রাহীম! ক্ষমা করে দিও তাদের মানবীয় দুর্বলতাগুলোকে।

ছোটবেলায় স্বজন ও প্রতিবেশীর কাছে সন্তান/ভায়ের মতো আদর পেয়েছি- যাদের ঋণ আমার হৃদয়ের ঘাম ও উত্তাপ দিয়ে আজও শোধ করতে পারিনি। ও আমার মালিক! বলো না, আমার এ ঋণ কীভাবে পরিশোধে হবে? যারা চলে গেছেন ও আছেন- ক্ষমা দিও সকলকে।

ফিকে হওয়া স্মৃতিগুলো আমায় সতত শঙ্কিত করছে। আমায় বার বার প্রশ্ন করছে- তোমার সন্তান, অনুজ, প্রতিবেশির সন্তানদের ক‘জনের এমন এ্যালবাম তৈরি হবে? তারা কী প্রিয় মাতৃভূমিকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি মানবিক সমাজ হিসেবে দেখতে পাবে? উত্তর না হলে, সেখানে তোমার দায়িত্বহীনতা নেই তো? কীভাবে তোমরা একটা প্রাণ-প্রাচুর্যেভরা সমাজদেহকে ক্ষত-বিক্ষত, টুকরো টুকরো করে ফেললে? তুমি নীরব দর্শক হলেও কি দায়মুক্ত ভাবছো? মনে রেখো, এ জবাব নিশ্চিত হলেই রমাদানের ফজিলত তোমায় ধরা দেবে!!! (চলবে...)

লেখক- ড. মীর মনজুর মাহমুদ