সরকারের যথোপযুক্ত পদক্ষেপেই দেশে করোনায় মৃত্যুহার অনেক কম : তথ্যমন্ত্রী

শেখ হাসিনা সরকারের যথোপযুক্ত পদক্ষেপেই দেশে করোনায় মৃত্যুহার বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে কম বলে শনিবার দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তথ্য-উপাত্তই বলে দেয় বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুহার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে তো বটেই, ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো থেকেও অনেক কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাই এর কারণ।’

ওয়ার্ল্ডোমিটার উপাত্ত উদ্ধৃত করে তিনি জানান, বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত রোগীদের ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছেন, যা ভারতে ৩ দশমিক ২ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ মৃত্যুহার শতকরা ৫ দশমিক ৯৬, যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৩৬, স্পেনে ১০ এবং ইতালিতে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ‘এ পরিসংখ্যানই বলে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশে করোনায় মৃত্যু বহু দেশের চেয়ে অনেক কম।’

সরকার মানুষ বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর করা মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন হাসান মাহমুদ। তিনি গবেষণা সংস্থার নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বিষয়ে বলেন, ‘দুর্যোগে গজিয়ে ওঠা সংস্থার মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ গুজব রটনার শামিল।’ ‘করোনায় লোকক্ষয় রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও প্রশংসার বদলে সমালোচনার জন্য বিএনপি প্রতিদিন মিথ্যাচারে ব্যস্ত’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এমনকি দ্য ইকোনমিস্ট এবং ফোর্বস পত্রিকাও শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেছে, প্রশংসা করতে পারে না শুধু বিএনপি।’

বেসরকারি হাসপাতালগুলোর করোনা মহামারিতে সেবা না দিয়ে বরং বাণিজ্যমুখী আচরণ করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে কিছু বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন ছিল সেভাবে আসেনি। অনেকগুলো হাসপাতাল তারা নিজেরাই অনেকটা বন্ধ করে রেখেছে। সেখানে কোনো করোনা রোগী গেলে সেবা দেয়া তো দূরের কথা, তাকে অন্য কোথাও ঠেলে দেবার চেষ্টা চলছে, যা আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি।’

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হাসপাতালের উদ্দেশ্য যদি বাণিজ্য হয় তাহলে তাকে হাসপাতাল বলা কঠিন।’ বেসরকারি হাসপাতালগুলো বাণিজ্যের মানসিকতা পরিহার করে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, তারা মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে, তাদের আমি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই এবং অন্যদের বলব তাদের অনুসরণ করতে।’

সূত্র : ইউএনবি