কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ করলেন জাস্টিন ট্রুডো

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ করলেন  জাস্টিন ট্রুডো

ছবি:সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে কানাডায়ও। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কানাডার বিক্ষোভকারীদের পক্ষে যোগ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার এক সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের সাথে হাঁটু গেড়ে বসেন তিনি।  শনিবার রয়টার্স খবরটি প্রকাশ করেছে।

এ সময় ট্রুডোর মুখে ছিল কালো মুখোশ। সংসদের সামনে চলা ‘নো জাস্টিস, নো পিস’ র‍্যালিতে দেহরক্ষীসহ ট্রুডোর যোগদান সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। পূর্ব কানাডায় আদিবাসী এক মহিলা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পরদিনই সমাবেশে ট্রুডো এই আগমন।

শক্রবার বিকেলে মার্কিনীদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে টরেন্টো শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। সেই মিছিলে হাটু গেড়ে বসে সম্মতি জানান তিনি। তারপর নিরাপত্তা বেষ্টনিসহ পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছান জাস্টিন ট্রুডো।

এই বিক্ষোভে কোনো বক্তব্য দেননি ট্রুডো। তবে অন্য বক্তাদের কথা বলার সময় হাত তালি দিয়ে ও মাথা নাড়িয়ে সায় দিচ্ছিলেন। এ সময় এক বক্তা দৃঢ়তার সাথে বলেন, এখানে বর্ণবাদের জন্য কোনো স্থান নেই। এর এক পর্যায়ে অন্য বক্তা যখন ভালোবাসা ও ন্যায় বিচার নিয়ে কথা বলছিলেন।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে জানা যায়, এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ৯ মিনিট নিরবতা পালন করেন। মিনেপোলিসে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চাওভিন যতক্ষণ জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিলেন ঠিক ততক্ষণ ছিল তাদের নিরবতা। অনেক বিক্ষোভকারীও ওই সময় পর্যন্ত হাঁটু গেড়ে ছিলেন। আর তাদের সাথে জাস্টিন ট্রুডোও যোগ দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে চেক জালিয়াতির অভিযোগে, মিনেপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে নৃশংস অত্যাচার করে পুলিশ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে বার বার আকুতি জানালেও, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে বসে থাকেন পুলিশ সদস্য। জর্জের পিঠের ওপর চাপ দিয়ে বসে থাকেন আরো দুই পুলিশকর্মী। এতে করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জর্জ ফ্লয়েডের। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেই ভিডিও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রে।

সূত্র : রয়টার্স