এনবিআরে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

এনবিআরে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

ছবি : সংবাদাতা

প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। সোমবার বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে অর্ধসহশ্রাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়নগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জে অবস্থিত “তালা বিড়ির” মাধ্যমে স্বাধিকার আন্দোলনের পাশাপাশি মেহনতি মানুষের কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিড়ি শিল্পকে শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। গরিব দুঃখী মানুষের শ্রমবান্ধব জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোর জন্য বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এবারের বাজেটেও বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত করারোপ করা হয়েছে। এ বৈষম্যমূলক শুল্ক নীতির কারনে বিড়ি শিল্প ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। বিদেশী সিগারেট কোম্পানীকে সুবিধা দিতে এ ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়িত হতে দিব না।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি প্যাকেটে বিড়ির মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধির ফলে ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯%। পাশাপাশি বিড়ির সমগোত্রীয় পণ্য নিন্মস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি ও সম্পূরক শুল্ক ২% বৃদ্ধির পরও ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র  ৮.৪২%। যা অনাকাঙ্খিত এবং তাতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এ বৈষম্যমূলক শুল্ক বৃদ্ধি আমরা মানিনা। অচিরেই এ শুল্ক কমাতে হবে। তা নাহলে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিক নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ ৫দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।