পাবনায় ১৮ বছরেও এমপিওভূক্ত না হওয়ায় স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা

পাবনায় ১৮ বছরেও এমপিওভূক্ত না হওয়ায় স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা

ছবি : সংবাদাতা

১৮ বছর চাকরি করার পরও এমপিওভূক্ত না হওয়ায় হতাশার জীবন নিয়ে তিন সন্তানের জনক স্কুল শিক্ষক   আত্মহত্যা করেছেন।

ওই শিক্ষকের নাম মোস্তফা কামাল (৪৫)। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন। তিনি টলটলিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। বৃহস্পতিবার(২৫ জুলাই) সকালে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষের বেলকুনি থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষক মোস্তফা কমাল ২০১২ সাল থেকে মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন নন এমপিও শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের  শেষের দিকে সরকার সারা দেশের ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির ঘোষাণা দেয়। এর মধ্যে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও হয় তার মধ্যে মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুলটিও এমপিও ভুক্তির তালিকায় নাম আসে।

সম্প্রতি ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তি হলেও ক্রীড়া শিক্ষক মোস্তফা কামাল এর কাগজ পত্রের জটিলতায় এমপিও ভুক্তি থেকে বাদ পড়েন। তবে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় শর্ত পুরণ সাপেক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে এমপিওর আবেদন পাঠানোর কথা রয়েছে। এমন অবস্থায় এমপিও ভুক্তি হওয়া না হওয়া নিয়ে মনস্তত্ত্বাকি দ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে  পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে তার চাকরি এমপিও না হওয়ায় মনস্তত্ত্বাকি দ্বন্দ্বের কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, “ময়না তদন্তের রির্পোট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে নিহত শিক্ষক এমপিও হওয়া না হওয়া নিয়ে মানষিক অশান্তিতে ভুগছিলেন।”