করোনার দুঃসময়ে সচিবালয়ই একমাত্র অফিস নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনার দুঃসময়ে সচিবালয়ই একমাত্র অফিস নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে করোনার এই দুঃসময়ে কাজ করতে কেবল সচিবালয়ে এসে বসে থাকাই মন্ত্রীর একমাত্র কাজ নয়। তিনি বলেন, দেশের কোন হাসপাতালে কি কাজ হচ্ছে,মানুষ হাসপাতাল থেকে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছে কিনা, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, কোন মানুষ হাসপাতাল থেকে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে ফিরে যায় কিনা এগুলো দেখভাল করে ও খোজ নিয়ে যথার্থ উদ্যোগ নেয়াটাই এখন আসল কাজ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বহষ্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এসব কথা বলেন।

‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়মিত অফিস করেন না’ একটি পত্রিকার এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, সচিবালয়ে বর্তমানে মন্ত্রীর দপ্তরে ৩ জনসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব, সহকারী সচিব থেকে অন্যান্য কর্মচারীসহ ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে পিএস ও পিআরও আক্রন্ত হয়েছিলেন। এরকম অবস্থায় নিয়মিত অফিসে আসার বিপরীতে অনলাইনে নির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়াটাও কম জরুরি নয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যদি নিস্ক্রিয়ই থাকতাম তাহলে কিভাবে মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব থেকে ৬৬টি টেস্টিং ল্যাবে পরিণত হলো, মাত্র ১০০ করোনা পরীক্ষা থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ থেকে ১৯ হাজারে উত্তীর্ণ হলো। মাত্র ১৫ দিন সময়ে বসুন্ধরায় ২০০০ বেড, উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ও উত্তরার দিয়া বাড়িতে মোট প্রায় ৩০০০ বেড, আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, শিকদার মেডিকেলের মত বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা শুরু হলো?

তিনি বলেন, সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসা দেয়া বাধ্যতামূলক হলো। পাশাপাশি শুধু ঢাকায় থাকা কিছু আইসিইউ সুবিধাকে কিভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পৌঁছে দিতে সক্ষম হলো। মাত্র ১০ দিনে ২০০০ নতুন চিকিৎসক ও প্রায় ৬ হাজার নতুন নার্স নিয়োগ হলো?

এছাড়াও অন্তত ৭০ টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপনের কাজ, মেডিকেল কলেজে অনলাইনে পড়ালেখা করা, অনলাইনেই পরীক্ষা ব্যাবস্থা শুরু করা, সকল হাসপাতালে খালিবেড, চিকিৎসক, নার্স সংখ্যার আপডেট তালিকা প্রকাশিত অবস্থায় দৃষ্টিগোচর করার কাজগুলিও হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাসস