পাটকল শ্রমিকদের বিদায়ের সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না : রিজভী

পাটকল শ্রমিকদের বিদায়ের সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না : রিজভী

ফাইল ফটো

রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকলসমূহে ২৫ হাজার শ্রমিককে ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’র মাধ্যমে বিদায়ের সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল বন্ধ করে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় দেয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত গণবিরোধী। গণদুশমন ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারে না। পাটকল শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্ত ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো অবস্থা। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী এই সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। পাটকল শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে আমরা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে সরকারকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।

রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকলসমূহের দুরাবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে রিজভী বলেন, তাদের (সরকার) ভ্রান্তনীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশের ঐহিত্যবাহী পাটশিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকলে দুর্নীতি, লুটপাট, ভুলনীতি এবং মাথাভারী ও অদক্ষ প্রশাসন লোকসানের জন্য দায়ী, শ্রমিকরা নয়। কারণ মৌসুমের জুলাই-আগস্ট মাসে পাটের দাম যখন ১ হাজার টাকা থেকে ১২‘শ টাকা থাকে তখন পাট না কিনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যখন পাটের দাম ২ হাজার থেকে ২২‘শ টাকা টাকা হয় তখন পাট কেনা হয়। শুধু তাই নয়, চাহিদার চেয়ে কম পাট কেনা হয়।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রামণের এই দুযোর্গকালে এমনিতেই যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, বিদেশ থেকেও অনেক শ্রমিকজ কাজ হারিয়ে দেশে ফিরছেন, সেই সংকটকালে ক্ষমতাসীন কথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে ২৫টি রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদেশে পাটের বাজার খোঁজা, পণ্যের বহুমুখীকরণ ইত্যাদি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং বিজেএমসির কাজ। লোকসানের দায় কোনোভাবেই শ্রমিকরা নেবে না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা করোনাভাইরাস সংক্রামণ টেস্টের ভুয়া ফলাফলের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, পত্রিকায় খবর বেরিয়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে করোনার স্যাম্পল নিয়ে পিসিআর ল্যাবে টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। লটারীর মতো পজেটিভ বা নেগেটিভ লিখে রিপোর্ট সনদ তৈরি করে পাঠিয়ে দেয়া হয় রোগীর মেইল এড্রেসে। আবার বুথে করোনা স্যাম্পল দিলে সেখানেও একই অবস্থা। টেস্ট না করিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় রিপোর্ট। কি ভয়ঙ্কর অবস্থা। মানুষের জীবন নিয়ে চরম তামাশা করছে সরকারের লোকজন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, করোনা নিয়ে ছলচাতুরী বন্ধ করুন । মানুষের জীবন নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলবেন না ।