মোমেন-পম্পেও আলোচনা,সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি

মোমেন-পম্পেও আলোচনা,সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ।সোমবার (২৯ জুন) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন-এর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-এর এক টেলিফোন আলাপে এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ফোনালাপে চার কোটি ৩০ লাখ ডলারেরও বেশি করোনা সহায়তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মর্গান অর্তাগাস জানিয়েছেন, ওই অর্থ বাংলাদেশকে সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ফোনালাপের সময় করোনা মহামারি মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন করে বাংলাদেশের ভূমিকা রাখার বিষয়টিও উঠে আসে।

ঢাকার কল্যাণপুর এবং সাত তলা বস্তির নিম্ন আয়ের এক লাখ মানুষকে খাবার সরবরাহ এবং কৃষিপণ্যের বাজার নিশ্চিত করতে দুই সপ্তাহ আগে সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি দাতব্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে এই সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশকে দেওয়া অন্য সহযোগিতার সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন ধাপের সহায়তা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেওয়া অন্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি নজরদারি, সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞানবৃদ্ধির মাধ্যমে কোভিড-১৯ নিয়ে ভুল ধারণা নিরসনে চলমান সহায়তার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে উদারতা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র অর্তাগাস বলেন, দুই নেতা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮২ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এর বেশিরভাগই বাংলাদেশে পরিচালিত কর্মসূচিতে ব্যয় হয়েছে।
এছাড়া দুই নেতা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে স্বচ্ছতা ও তথ্যপ্রাপ্তির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।