কায়রোর সাথে বৃটিশ ও লুফথানসার ফ্লাইট বন্ধ

কায়রোর সাথে বৃটিশ ও লুফথানসার ফ্লাইট বন্ধ

ছবি সংগৃহিত।

 

 

নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই এক সপ্তাহের জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এদিকে জার্মানির এয়ারলাইন লুফথানসাও দেশটির মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে কায়রোগামী শনিবারের ফ্লাইটগুলো বাতিল করেছে। খবর রয়টার্স, বিবিসি

তবে ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তা ইস্যুর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সংস্থা দুইটি নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি।

কায়রো বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।

ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করে থাকি। সে কাজের অংশ হিসেবে পূর্বসতর্কতামূলকভাবে কায়রোগামী আমাদের ফ্লাইটগুলো সাত দিনের জন্য বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা সব সময় আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করব না আমরা।

এদিকে লুফথানসা জানায়, মিউনিখ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে কায়রোগামী শনিবারের ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে। রোববার থেকে আবার কায়রোগামী ফ্লাইটগুলো চালু হবে।

মিশরের বিমানবন্দর নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ব্রিটিশ কর্মীরা বুধবার ও বৃহস্পতিবার কায়রো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরীক্ষা করেছে। তারা বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।

শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবশেষ নির্দেশনায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট স্থগিতের বিষয়টি উল্লেখ করে ভ্রমণকারীদেরকে এয়ারলাইনটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে মিশরের বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, কায়রোতে ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দূতাবাসটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটেনের পরিবহন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্লাইটগুলো বাতিল বিষয়ক কোনও নির্দেশনা জারি করেনি।

বিবৃতিতে তারা আরও জানায়, এই সময়ে যাত্রীদের বহন করার জন্য তারা কায়রো থেকে লন্ডনের পথে রোববার থেকে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে।

২০১৫ সালে মিশরের অবকাশযাপন শহর শারম আল শেখ থেকে রওনা হওয়ার পর রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বোমা হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। তারপর থেকে মিশরের ওই শহরটি সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচলের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার সতর্কতা জারি করলেও কায়রো সঙ্গে বিমান চলাচলের বিষয়ে এ ধরনের কোনো সতর্কতা জারি করেনি।