টাকার বিনিময়ে ভিজিডির চাল নিতে হলো ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে

টাকার বিনিময়ে ভিজিডির চাল নিতে হলো ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে

পাবনা প্রতিনিধি

ভিজিডির চাল বিতরণে দুস্থ কার্ডধারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পাবনার ভাংগুড়া  উপজেলার ২নং খাঁনমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে খাঁনমরিচ ইউনিয়ন পরিষদে ৫২১ জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণকালে এ টাকা নেয়া হয়। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুফলভোগী নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

 

জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্যক্রমের বরাদ্দকৃত চাল ৫২১ জন কার্ডধারীর জন্য উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান।

মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় কার্ডধারীর কাছ থেকে চাল আনতে পরিবহন খরচ বাবদ ১০০ (একশত) টাকা করে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন কার্ডধারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কার্ডধারী এক বিধবা বলেন, “আমি দিন আনি দিন খাই। আমার টাকা কামানোর কোন সামর্থ্য নাই ১০০ টাকা কই পাবো। দুমুঠো খেতে হবে তাই খুব কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করে এনেছি।”

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন জিন্নাহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে চাল বিতরণকালে কার্ডধারীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে পরিবহন খরচ বাবদ আদায় করা হয়েছে।

গ্রাম পুলিশ আব্দুল মজিদ ও ফরজ আলী বলেন, অনেক মেম্বারের উপস্থিতিতে ১০০করে টাকা আদায় করা হয়েছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান বলেন, কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। পরিবহন খরচ সরকারিভাবে পরিশোধ করা হয়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুফলভোগী নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় দুঃখজনক।

এদিকে চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।