"অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিমকের নির্দেশনা"

"অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিমকের নির্দেশনা"

ছবি : সংবাদাতা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও চলতি মাসে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস।এর ভিন্নতা ঘটেনি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক) এর পরিকল্পনা  বাস্তবায়নে গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য (চলতি দ্বায়িত্বে) ড. মোঃ শাহজাহান ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অসহায় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয়  উপাচার্য(চলতি দ্বায়িত্বে) জানান, অনলাইন ক্লাস সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা ও পরিকল্পনা ইউজিসির, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে শুধুমাত্র কোর্স নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস গ্রহণের মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে। অনলাইন ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, অনলাইন ক্লাস বিষয়ে যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। বিভাগীয় চেয়ারম্যান স্যার কর্তৃক সকল সমস্যা একত্রিত করে এর সমাধানে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে ইউজিসি। এই ব্যাপারে একক বা পৃথক কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এ  বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা কাজী মশিউর রহমান সংশয় প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের একটা বৃহৎ অংশ এই অনলাইন ক্লাসের বাইরে থেকে যেতে পারে। যা অনেকাংশেই হতাশাজনক। এর কারন হিসেবে তিনি ইন্টারনেট স্পিড, স্মার্ট ডিভাইস, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়েরই প্রশিক্ষণের অভাব কে দায়ী করেন।

এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের কি করনীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন "শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যাগুলো দায়িত্বশীল শিক্ষকদেরকে জানাবে, তারপর সেই অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। একটা বড়  অংশ এমনকি একজনকেও পর্যাপ্ত সুযোগ করে দিতে না পারলে আমাদের আসল উদ্দ্যেশই ব্যর্থ হবে"

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান,  আমি অনলাইন ক্লাসের উদ্দোগটিকে সাধুবাদ জানাই। তবে ওই সকল বন্ধু/ছাত্র যাদের শেষ ৪ মাস ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না,তাদের জন্য আগে ব্যাবস্থা নিতে হবে।তাদের অবস্থান স্বাভাবিক নিশ্চিতের পর এই অনলাইন ক্লাসের উদ্দোগটি পরিপূর্ণ মর্যাদা পাবে।নয়তো আবারো ধনী-গরিবে অবস্থানটি ফুটে উঠবে।করোনা ভাইরাস সকল শ্রেণিকে এক কাতারে এনেছে।প্রশাসনের নিকট বিনীত আবেদন, অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন,অতপর আমাদেরকে অনলাইনে মানুষ বানাবেন।হয়ত তাদের অনেকেই তাদের সমস্যা গুলো আপনার নিকট পৌছাতে পারবে না।এর সমাধান খুজে পদক্ষেপ গ্রহণ হয়ত ধনী গরিবের ব্যবধান কমাবে।

সমাজবিজ্ঞানের  ৩য় বর্ষের শিক্ষাথী আঞ্জুম আরা জানান, আমার মনে হয় এই অনলাইন ক্লাস ৪/৫ দিন চলবে।যেহেতু আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই গ্রামে অবস্থান করে।গ্রামাঞ্চলে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ভাল না।সেই ক্ষেত্রে ক্লাসে সবাই উপস্থিত হতে পারবে না।কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সিলেবাস এগিয়ে নেওয়া যাবে না।কিছুদিন চলার পর এই অনলাইন ক্লাস হবে কিনা এ বিষয়টি দেখতে হবে।কিন্তু এর বিকল্প কিছু আমাদের চিন্তা করা উচিত।সেটা অনলাইন ক্লাসের জন্য সঠিক পরিকল্পনা। সকলের কথা চিন্তা করে বিকল্প কিছু চিন্তার সময় এসেছে।

উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবির ১৩.৫% শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন নেই।