প্রিয়া সাহার বিষয়ে অবস্থান পরিস্কার করবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

প্রিয়া সাহার বিষয়ে অবস্থান পরিস্কার করবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

ফাইল ছবি

সংগঠন থেকে প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কারের পর নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পরিষদটি।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল (মঙ্গলবার) ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের সই করা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রিয়া সাহার বিষয়ে পরিষদের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে।

প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বিষয়ে প্রিয়া সাহা নালিশ করেন। সে ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে সারা দেশব্যাপী তুমুল সমালোচিত ও নিন্দিত হতে থাকেন প্রিয়া। যা দেশব্যাপী এখনও অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে বিচার দাবি করে তার নিজ এলাকায় পিরোজপুরের নাজিরপুরে মানববন্ধন হয়েছে।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরাও তার বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে সংগঠনটি। সোমবার সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, পরিষদের স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য তাকে (প্রিয়া সাহা) বহিষ্কারের পাশাপাশি সাংগঠনিক সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয়া বালা বিশ্বাস (৫৪) ‘শারি’ নামে বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক। ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দলিত কণ্ঠ’ নামক একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকও তিনি।

১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রিয়া সাহাও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে।

আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’

প্রিয়ার এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।