করোনা পরিস্থিতিতে কুরবানী: মুসলিম উম্মাহর করণীয়

করোনা পরিস্থিতিতে কুরবানী: মুসলিম উম্মাহর করণীয়

সংগৃহিত

ঈদুল আযহার দিন এবং পরবর্তী ৩দিন আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করা সমর্থবান মুসলমান নারী ও পুরুষদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটা ইবাদত। এ সম্পর্কে আল-কুরআনে বলা হয়েছে,  فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ  “তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর।” (সূরা আল-কাউসার-২) তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে পশু কুরবানী করা থেকে ইসলামে অব্যহতি পাওয়ার সুযোগ আছে কি না? অথবা পশু কুরবানী না করে সেই টাকা গরীব-অসহায়দেরকে দেওয়া যাবে কি না? এব্যাপারে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। আলোচ্য প্রবন্ধে ইসলামে এর সমাধান কি সে সম্পর্কে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

করোনা পরিস্থিতিতে কার উপরে কুরবানী ওয়াজিব:
কারো উপরে কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত হচ্ছে তাকে অর্থনৈতিকভাবে সামর্থবান হতে হবে। অর্থাৎ তার নিজের ও পরিবারের খরচপাতি করার পরে অতিরিক্ত তার কাছে কুরবানী করার অর্থ থাকতে হবে। এটাই গ্রহনযোগ্য মত।
কুরবানী করার জন্য সামর্থবান হওয়া শর্ত মর্মে দলিল হচ্ছে, নবী (সা.) এর বাণী
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ قَالَ : مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ ، وَلَمْ يُضَحِّ ، فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا.
“হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যার কুরবানী করার সামর্থ থাকার পরও কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।” (সূনান ইবনে মাজা ও মুসনাদে আহমাদ)

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত নয়। কুরবানী পুরুষদের উপর যেমন ওয়াজিব হয় তেমনি নারীদের উপরও। কারণ ওয়াজিব হওয়ার দলিলগুলো নর-নারী সবাইকে সমানভাবে শামিল করে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা প্রতি বছর কুরবানী করতো বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা, চাকুরী হারানো ও করোনার কারণে এবার তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নাই এখন সে কি করবে? এর জবাব হচ্ছে- সে এবার সাহেবে নিসাব নয় এজন্য এবার তার কুরবানী করার প্রয়োজন নেই। কারণ কুরবানী ওয়াজিব হয় বছরে একবার। যার কাছে কুরবানীর দিন বা তার পরের ৩দিন পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পরে কুরবানী করার মত টাকা গচ্ছিত থাকে কেবল তার উপরে কুরবানী ওয়াজিব হয়।

কুরবানী করার বিধান সম্পর্কে আল-কুরআন ও আল-হাদীসের বক্তব্য:
আমরা সরাসরি কুরআন-হাদীসের বক্তব্য অনুসারে পরিস্কারভাবে বলতে পারি, পশু কুরবানী করা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ যা একটা শরয়ী আবাদত। কাজেই যাদের উপরে এ বছর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়েছে তাদের পশু কুরবানী করার পরিবর্তে সদাকা করা বা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা যাবে না এটাই ইসলামের বিধান। কারণ কুরবানীর হুকুম কার্যকর হয় পশু যবেহ করার মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,  
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
“আর আমি এক মহান যবেহের বিনিময়ে তাকে মুক্ত করলাম। এবং পরবর্তী কালের লোকদের জন্য এটাকে দৃষ্টান্ত স্বরূপ স্থাপন করলাম।” (সূরা সাফফাত-১০৭-১০৮
)
আল-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
 مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلاً أَحَبَّ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ، مِنْ هِرَاقَةِ دَمٍ
“কুরবানীর দিন পশুর রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোন আমল আল্লাহর কাছে নেই।” (সূনান ইবনে মাজা)
আল-কুরআনে আরো বর্ণিত হয়েছে,
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِينَ
“প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কুরবানীর বিধান রেখেছিলাম, যাতে তারা উক্ত পশু যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে এ জন্য যে, তিনি চতুষ্পদ জন্তু থেকে তাদের জন্য রিযিক নির্ধারণ করেছেন। তোমাদের ইলাহতো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও।” (সূরা আল-হাজ্জ-৩৪)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন,
فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ
অতঃপর তোমরা তা হতে আহার কর এবং দুঃস্থ, অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।” (সূরা আল-হজ্জ- ২৮)

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস থেকে এটা প্রমানিত হয় কুরবানীর দিনের সবচেয়ে বড় ইবাদত হচ্ছে পশু কুরবাণী করা এবং দরিদ্র অসহায় মানুষদেরকে কুরবানীর গোস্ত খাওয়ানো। এথেকে বুঝা যায়, গরীবদেরকে অর্থ দিলে হক আদায় হবে না বরং কুরবানীর গোস্ত আহার করাতে হবে। তাই যে সাহেবে নিসাব বা যার পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পরে একটা ছাগল বা বকরি ক্রয় করার মত অর্থ গচ্ছিত থাকবে তাকে পশু কুরবানী করতে হবে। এর বিকল্প কোন পন্থা অবলম্বন করা যাবে না।

করোনা দুর্যোগে কুরবানীর বিধান:
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কুরবানী করার বিধান কি হবে? বা এর থেকে অব্যহতি পাওয়ার সুযোগ আছে কি না? এব্যাপারে ওয়জিব কুরবানী ও নফল কুরবানীর ক্ষেত্রে পৃথক দু’টি মত আছে যা নিম্নে পেশ করা হলোঃ

ওয়াজিব কুরবানীর ক্ষেত্রে বিধান:
কুরআনুল কারীমের আয়াত ও রাসূল (সা.) এর হাদীস থেকে জানা যায়, যাদের সামর্থ আছে তাদের কুরবানী করতে হবে। রাসূল (সা.) মুসলিম উম্মাহকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, কুরবানীর দিনে একজন মুমিনের সবচেয়ে প্রিয় কাজ পশু কুরবানী করা। আর কুরবানীর পশুর রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার পূর্বেই আল্লাহর দরবারে তা কবুল হয়ে যায়। আল-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,  
 عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ قَالَ : مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلاً أَحَبَّ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ، مِنْ هِرَاقَةِ دَمٍ ، وَإِنَّهُ لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، بِقُرُونِهَا ، وَأَظْلاَفِهَا ، وَأَشْعَارِهَا ، وَإِنَّ الدَّمَ ، لَيَقَعُ مِنَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ، بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ عَلَى الأَرْضِ ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا.
“হযরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, কুরবানীর দিন পশুর রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোন আমল আল্লাহর কাছে নেই। ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর, পশমসমূহ নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। কুরবানীর রক্ত জমিনে পতিত হবার পূর্বেই তা আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়। অতএব, তোমরা কুরবানির দ্বারা নিজেদের নফসকে পবিত্র কর।” (সূনান ইবনে মাজাহ)

উক্ত হাদীসের মাধ্যমে জানা যায়, কুরবানীর ঈদের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হচ্ছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করা ও তার গোস্ত গরীব-অসহায়দের খাওয়ানো। কারণ পশু কুরবানী করার মাধ্যমে একজন মুমিন তার জীবনে সঞ্চিত পশুত্বকে কুরবানী করে নিজেকে পাক-পবিত্র করে নেন।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে কুরবানী থেকে অব্যহতি পাওয়ার সুযোগ আছে কি না? এর জবাব হচ্ছে-
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি যা তাতে কুরবানীর পশু ক্রয়, যবেহ করার ক্ষেত্রে এখনো তেমন কোন প্রতিবনদ্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এখনো কুরবানীর হাট বসছে, মানুষ হাটে-বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র ক্রয় করছে, মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা পরিচালনা করছে, তাই এই পরিস্থিতিতে ওলামায়ে কেরাম একমত হয়েছেন যে, যার উপরে কুরবানী করা ওয়াজিব তাকে পশু কুরবানী করতে হবে। এটাই ইসলামের বিধান।

আমাদের মনে রাখতে হবে, কুরবানী করার ক্ষেত্রে নিজে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে কুরবানী করতে হবে এটা শর্ত নয়। আপনাকে কুরবানী আদায় করতে হবে এটাই বিধান। এক্ষেত্রে যদি কোন মুসলিম ভাই নিজে একাজ সম্পন্ন করতে না পারেন বা তার শারীরিক বা মানুসিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিবেন, যেমন- বর্তমানে অনলাইনে কুরবানীর গরু ক্রয় করা যাচ্ছে, আবার অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কুরবানীর পশু সরবরাহ ও কুরবানীর সকল কাজ সম্পন্ন করে বাসায় গোস্ত পৌঁছে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। চাইলে তাদের মাধ্যমে গরীব-মিসকীনদের অংশ বন্টনের ব্যবস্থাও করা সম্ভব। কাজেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা সাহেবে নিসাব তাদের কুরবানী করতে হবে, প্রয়োজনে অন্যের সহযোগিতা নিয়ে হলেও।

একজন মুসলিম তার নামাজ-কুরবানী, জীবন-মৃত্যু সব আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করবে, এটাই আল-কুরআনের বিধান। এ সম্পর্কে আল্লাহ আমাদেরকে বলেছেন,
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ.
“বল, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে।” (সূরা আনয়াম-১৬২)

আমরা আরো বলতে পারি, কুরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য অর্জন করেন। এবং যে পশু যবেহ করা হয় তার গায়ের পশম সমপরিমান বা তার পাঁচগুন সওয়াবের অধিকারী হন। এ ব্যাপারে আল-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
فَمَا لَنَا فِيهَا يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ : بِكُلِّ شَعَرَةٍ ، حَسَنَةٌ قَالُوا : فَالصُّوفُ ؟ يَا رَسُولَ اللهِ ، قَالَ : بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ ، حَسَنَةٌ.
“সাহাবীরা বললেন কুরবানীতে আমাদের কী ফজিলত? নবীজি বললেন, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে পাঁচটি করে সওয়াব। তারা বললেন, ছুফ এর জন্যও কি? নবীজি জবাব দিলেন, ছুফ (অধিক পশম বিশিষ্ট পশু) এর জন্য নেকী রয়েছে।” (সূনান ইবনে মাজাহ)

কাজেই পশু কুরবানী করার মত এত মহত ইবাদত থেকে যদি নিজেদেরকে বিরত রাখি তাহলে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল ও অসংখ্য সওয়াবের ভাগিদার থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে যাবো, যেটা একজন মুসলিম হিসেবে কখনোই কাম্য নয়।

আর যদি কোন এলাকায় মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করে। অর্থাৎ আপনি ঘর থেকে বের হতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে আপনি আপানার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের সহযোগিতা নিতে পারেন। আপনি যেভাবে হোক কুরবানী আদায় করলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তাই এই করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদেরকে কুরবানী করতে হবে এটাই ইসলামের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

অব্যহতি পাওয়ার ক্ষেত্র:
তবে করোনা পরিস্থিতি যদি আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে যে. আপনি ঘর থেকে একেবারেই বের হতে পারছেন না, আবার কারো মাধ্যমেও কুরবানী করতে পারছেন না, বা কোন উপায়ও খুজে পচ্ছেন না সেক্ষেত্রে কি করবেন?
এসময়ে কুরবানী সম্পর্কে ইসলামের বিধান হচ্ছে- এমন অবস্থায় তো আপনি সকল সামর্থ হারিয়ে ফেলেছেন, তাই আপনি কুরবানী না করে কুরবানীর অর্থ সদাকা করে দিতে পারবেন। কারণ আল্লাহ তাআলা কারো উপরে তার সাধ্যের অতিরিক্ত বুঝা চাপিয়ে দেন না। আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا
“আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যরে বাইরে বুঝা চাপিয়ে দেন না।” (সূরা আল-বাকারা-২৮৬)

নফল কুরবানীর ক্ষেত্রে বিধান:
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নফল কুরবানী করার ক্ষেত্রে অব্যহতি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ যারা ওয়াজিব কুরবানীর পাশাপাশি নফল কুরবানী করবেন তারা যদি মনে করেন কুরবানী না করে সেই টাকা অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে সদাকা করে দিবেন সেটা করতে পারবেন। এতে সে গুনাহগার হবে না, বরং এ কাজের জন্য তিনি সওয়াবের অধিকারী হবেন। কারণ অনেক মানুষ এখন চাকুরী হারিয়েছে, আয়-উপার্জনের ক্ষমতা হারিয়েছে, আপনি যদি তাদের কিছু খাদ্য সামগ্রী দিতে পারেন এটা তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সহযোগিতা হবে। কাজেই নফল কুরবানী থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে অব্যহতি পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে উক্ত টাকা গরীব, মিসকিন ও অসহায়দেরকে সদাকা করে দিতে হবে।


পরিশেষে বলা যায়, কুরবানী করা মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটা ইবাদত যা পালন করার ক্ষেত্রে আল্লাহ নিজেই আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাই আমাদের উচিত সকল পরিস্থিতিকে মুকাবিলা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর নৈকট্য হাসিলের জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কুরবানী করে নিজেদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা। আর নফল কুরবানী না করে সেটাকা এতিম, আসহায়, গরীব-মিসকিনদের কল্যাণে দান করে দেওয়া। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।