ঈদের আগে বকেয়া ৮.৬৭ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে পাবনা সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিদের বিক্ষোভ

ঈদের আগে বকেয়া ৮.৬৭ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে পাবনা সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিদের বিক্ষোভ

ফাইল ফটো

আবারো ঈদের আগে বকেয়া পরিশোধের দাবিতে পাবনা সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা বিক্ষোভ করেছেন। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচন্ড গরমের মধ্যে একটানা প্রায় চার ঘন্টা মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অফিসে তারা বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর আগেও তারা একই দাবীতে কয়েকদফা আন্দোলন করেছেন।

মিলের ৮ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও সাড়ে তিন হাজার আখচাষি প্রায় প্রতিদিন মিলচত্বরে ধরণা দিচ্ছেন তাদের বকেয়া টাকার দাবিতে। কিন্তু চিনি অবিক্রিত থাকায় কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না। 

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, আখচাষিরা ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পাবেন। অন্যদিকে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের চার মাসের বেতন বাবদ বকেয়া ৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখন ঈদের আগে জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু মিলে উৎপাদিত চিনিগুদামে অবিক্রীত পড়ে থাকার কারণে এ বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ৪ হাজার ২০০ টন চিনি অবিক্রীত পড়ে আছে, যার মিল রেট অনুযায়ী দাম প্রায় ২৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

চিনি বিক্রি না হওয়ার কারন কী জানতে চাইলে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুদ্দিন লেন,“বেসরকারি খাতের চিনি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে বাকিতে পেয়ে থাকেন এবং অন্য সুবিধাও আছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের দেশী চিনির ক্ষেত্রে সেটা নেই।” ফলে বিরাট অংকের বকেয়া নিয়ে যেমন বড় ধরণের সমস্যায় পড়েছেন মিল কর্তৃপক্ষ; তেমনি অর্থ অভাবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা অত্যন্ত মানবেতর জীবণ-যাপন করছেন। এই করোনার মধ্যে অর্থ অভাবে তাদের ঈদ উদযাপন করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

অন্য একটি সূত্র জানায়, দেশী  চিনি গুণে ও মানে ভালো হলেও মিষ্টির দোকানদাররা শুধু সাদা রঙের কারণে আমদানি করা চিনি কিনতে আগ্রহী। এতে মিষ্টির রঙ সাদা হয়। অপরদিকে দেশী চিনি একটু লালচে হয়।

বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বাদশা জানান, “আখচাষিদের বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে বিসিআইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার  দেনদরবার করেও  সমাধান হচ্ছে না। সার্বিক পরিস্থিতিতে ঈদের আগে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারটি এখনও অনিশ্চিতই থেকে যাচ্ছে।”