ফিরে যেতে চাই, প্রিয় ক‍্যাম্পাসে!

ফিরে যেতে চাই, প্রিয় ক‍্যাম্পাসে!

ছবিঃ মু, সায়েম আহমাদ

একটি ক‍্যাম্পাস প্রত‍্যেক শিক্ষার্থীর কাছে আবেগ আর ভালোবাসার জায়গা। পুরো ক‍্যাম্পাস জুড়ে থাকে কতশত স্মৃতি আর ভালোবাসা। পড়াশোনা, আড্ডা, গানবাজনা, বন্ধুদের সাথে ঠাট্টা হাসি, দুষ্টুমি আর খুনসুটি। কতশত স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্ত আছে ক‍্যাম্পাস জুড়ে।প্রত‍্যেক শিক্ষার্থীর জীবনজুড়ে আনন্দের সিংহভাগ থাকে ক‍্যাম্পাসজীবনে।

কিন্তু হঠাৎ করোনা ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব।আর সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বস্তরের মানুষের অন্তরে।দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে,করোনার আতঙ্কও বেড়ে চলছে। কোথায় এর শেষ জানা নেই কারো।আর সেই সাথে বেড়ে চলছে ১৮ একরের বিস্তৃত প্রিয় ক‍্যাম্পাসের (ঢাকা কলেজ) প্রতি মায়া ও ভালোবাসার টান। নিস্তব্ধ পৃথিবীর সবকিছু। নেই কোন আগের মতো রূপ।সব যেন অচলাবস্থায়।

কেমন আছে প্রিয় ক‍্যাম্পাসটি ?? এ প্রশ্ন যেন মনের অন্তরালে ঘুরপাক খাচ্ছে বেলা অবেলায়। প্রিয় ক‍্যাম্পাসের সবস্মৃতি যেন আমাকে কাতর করে তুলছে। এই মন হারিয়ে যায়,ক‍্যাম্পাসের শহীদ মিনার, বিজয় চত্বর কিংবা কলেজ মাঠের আড্ডায়। এই স্থানগুলোতে এখন তো আর কেউ ভীড় জমায় না।

ক‍্যাম্পাসে প্রথমে গিয়ে বন্ধুদের নিয়ে টংয়ের দোকানে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠা। ক্লাস শেষে পুকুরপাড়ে বসে, বন্ধুদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝালমুড়ি খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া। কলেজ মাঠে খেলাধুলায় মেতে উঠে জয় পরাজয়ের আনন্দ উপভোগ করা। লাইব্রেরীর কোন এক চেয়ারে বসে, হারিয়ে যেতাম বইয়ের পৃষ্ঠায়।বইয়ের পৃষ্ঠায় হারিয়ে যেতাম অতীতের উদ্ভট কিছু জানতে আর সাফল্য এনে দিবে এমন প্রত‍্যাশা থাকে মনে। কিন্তু এখন তো আর এমন হয় না। আজ সব যেন স্মৃতি।

কলেজের প্রতিটি আবাসিক হল যেন আজ কীটপতঙ্গের আবাসস্থল। ধুলো-বালুতে একাকার পড়ার টেবিল আর শোয়ার খাট।নিরবে মুখরিত, পুরো ক‍্যাম্পাস।হয়তো কলেজ বাসগুলোর সিটের উপর পড়ে আছে ধুলো-বালির স্তূপ আর জমে আছে মরীচিকা। তবুও ফিরে যেতে চায় যে এই আনমনা। আর প্রাণ খুলে বলতে চাই, "আসবে কবে ফিরে, পৃথিবী আগের রূপে। যেতে চাই আমি, প্রাণের শিক্ষাঙ্গনে।"

মু, সায়েম আহমাদ

 শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ

 ঢাকা কলেজ,ঢাকা।