ব্রডের ৫০০

ব্রডের ৫০০

মঙ্গলবার টেস্টে ৫০০তম উইকেটের বল হাতে ব্রড। রয়টার্স

প্রথম টেস্টে মাঠের বাইরে বসে দেখতে হয়েছিল দলের হার। দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক জো রুট ফিরিয়ে এনেছিলেন তাঁকে। রুট যে ভুল করেননি, তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজ জিতিয়ে প্রমাণ করে দিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। শেষ দু’টেস্টে ১৬টি উইকেট নিয়ে।

মঙ্গলবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তৃতীয় টেস্টের শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১২৯ রানে। যার ফলে ২৬৯ রানে টেস্ট জিতে ২-১ সিরিজও জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ এবং সিরিজ সেরা ক্রিকেটারের নাম ব্রডই। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট তুলে নিলেন ইংল্যান্ডের এই পেসার।

করোনা মহামরির মধ্যে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় সাক্ষী থাকল ব্রডের প্রত্যাবর্তনেরও। তাঁর এই ফিরে আসার কাহিনিও যেন মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তিরই জয়ের নিশান। ব্রডকে নিয়ে তাঁর সতীর্থ জিমি অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘‘অবশ্যই কেরিয়ারের শেষে ব্রড আমার চেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট পেতে পারে।’’ এই মুহূর্তে ৩৪ বছর বয়সি ব্রড পাঁচ‌‌‌‌'শ টেস্ট উইকেট (৫০১) পাওয়ার মাইলফলক ছুঁয়েছেন এ দিন। সপ্তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচশোর ক্লাবে ঢুকলেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সি অ্যান্ডারসনের উইকেট সংখ্যা ৫৮৯। অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘‘সাউদাম্পটনে বাদ গিয়ে হতাশ হয়েছিল ব্রড। পরের দুটো টেস্টে দেখে মনে হচ্ছিল, নিজেকে প্রমাণ করতে নেমেছে।’’

পুরস্কার নিতে এসে ব্রড বলেন, ‘‘সবাই চায় নিজে ভাল খেলার পাশাপাশি দলও যেন জেতে। তাই যে-দিন পাঁচশো উইকেট  পেলাম, সে-দিনই দল জেতায় বাড়তি আনন্দ হচ্ছে। নিজের বোলিংয়ে কিছু টেকনিক্যাল বদল করেছি। এখন দারুণ ছন্দে আছি। পাকিস্তান সিরিজ খেলতে মুখিয়ে আছি।’’ ব্রডের প্রত্যাবর্তনে যাঁর সব চেয়ে বড় হাত ছিল, সেই রুট তাঁর সেরা অস্ত্রের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘৫০০ টেস্ট উইকেট পাওয়া বিশাল কৃতিত্বের। যে ভাবে ও ফিরে এসে নিজেকে প্রমাণ করল, তাতেই বোঝা যায় ব্রড কত ভাল ক্রিকেটার।’’