হাজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

হাজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ফাইল ছবি

একজন মুসলিমকে কিছু সময়ের জন্য রহমানের মেহমান হওয়ার পরম সৌভাগ্য আর সদ্য প্রসূত শিশুর মত পাপমুক্ত জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয় যে মহান ইবাদাত, সেটিই হাজ্জ, হাজ্জ মাবরূর। হাজ্জ শব্দের অর্থ সংকল্প করা, কোন স্থানের দিকে গমনের ইচ্ছা পোষণ করা। ইসলামী পরিভাষায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নির্দিষ্ট কিছু কর্ম সম্পাদন করার নাম হাজ্জ। ফিক্হুস সুন্নাহ গ্রন্থ প্রণেতা বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর হুকুম পালনার্থে মক্কার দিকে গমনের ইচ্ছা করাকে হাজ্জ বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়, হাজ্জের নিয়তে নির্র্দিষ্ট স্থান হতে ইহরাম বেঁধে আল্লাহর বিধান পালনার্থে কা‘বা শরীফের তাওয়াফ, আরাফার ময়দানে অবস্থান এবং তদসংশ্লিষ্ট কার্যাবলী নির্দিষ্ট নিয়মে সম্পাদন করাই হাজ্জ। এটি ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। এ ইবাদাতের মাঝে দৈহিক, আর্থিক ও মানসিক সব ধরনের ত্যাগ বিদ্যমান থাকায় ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সামর্থবান প্রত্যেক মুসলিমের উপর জীবনে একবার হাজ্জ পালন করা ফরয। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কা‘বা ঘরের হাজ্জ পালন করা ঐ সমস্ত মানুষের উপর ফরয যারা ঐ (কা‘বা ঘর) পর্যন্ত পথ অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে। আর যারা কুফরী করবে (সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হাজ্জ পালন না করবে) তারা জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।” (সূরা আলে ‘ইমরান: ৯৭)

 

বিভিন্ন দিক থেকে হাজ্জ এর মধ্যে উপদেশ, শিক্ষা ও কল্যাণ নিহিত। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আর মানুষের মধ্যে তুমি হাজ্জের ঘোষণা দাও। তখন তারা পায়ে হেঁটে এবং উটে আরোহণ করে তোমার কাছে এসে উপস্থিত হবে; যে উটগুলো সুদূর পথ অতিক্রম করে এসে পৌঁছবে যেন তারা তাদের কল্যাণ প্রত্যক্ষ করতে পারে।” (সূরা হাজ্জ: ২৭) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইব্ন ‘আব্বাস বলেন, যখন ইবরাহীম আ. কে লোকদের মাঝে হাজ্জ ঘোষণার এ আদেশ দেয়া হল, তখন তিনি বললেন, হে প্রভু! এটি জনমানবশূন্য প্রান্তর। তোমার এ বার্তা লোকদের কাছে পৌঁছাব কি করে? আল্লাহ তা‘আলা বললেন, তোমার দায়িত্ব শুধু ঘোষণা করা। এরপর তিনি মাকামে ইবরাহীম মতান্তরে আবূ কায়স পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, হে লোকসকল! আল্লাহ তাঁর নিজ ঘর নির্মাণ করেছেন এবং এ ঘরের হাজ্জ ফরয করেছেন। তোমরা এ আদেশ পালন কর। বর্ণিত আছে, ইবরাহীম আ. এর এ ঘোষণা আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দেন। এমনকি ভবিষ্যতে আগমনকারীদের কাছেও, যাদের ভাগ্যে হাজ্জ লিখেছেন, তাদের সবাই এ ঘোষণার জবাবে “লাব্বাইক” বলেছিল। ইব্ন আব্বাস বলেন, ইবরাহীম আ. এর আওয়াযের জবাবই হচ্ছে “লাব্বাইক” বলার মূলভিত্তি।

হাজ্জ মুসলিমের পরম কাম্য ও মহাসম্মেলন। ইসলামী শরীয়ার অন্যান্য ইবাদাতের মত এটিরও মহান লক্ষ্য ও বহুমাত্রিক কল্যাণকামিতা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য নিহিত রয়েছে। ব্যক্তি মানুষের জন্য একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য, দাসত্ব, ত্যাগ, মহিমা, সৌহার্দ ও ঐক্যের আহবান নিয়ে মুসলিম বিশ্বের দ্বারে দ্বারে এসে উপস্থিত হয় হাজ্জের মৌসুম। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ তাওহীদী জনতা হাজ্জের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তাদের মিলনকেন্দ্র আল্লাহর ঘর পবিত্র কা‘বার পানে। এ ঘরের মর্যাদা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “মানুষ কি আমার এ মহিমা প্রত্যক্ষ করে না যে, আমি কা‘বার হেরেমকে শান্তিনিকেতনে পরিণত করেছি? আর তার চতুষ্পার্শকে মানবাকীর্ণ করে তুলেছি? এরপরেও কি তারা মিথ্যাকে প্রত্যয় করতে থাকবে এবং আল্লাহর নিয়ামতকে অস্বীকার করবে।” (সূরা ‘আনকাবূত: ৬৭)

হাদীসে বিভিন্নভাবে হাজ্জের তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবূ হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সা. কে কোন আমল সর্বোত্তম জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। বলা হল এরপর কোনটি? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। অতঃপর জিজ্ঞেস করা হল, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মাবরুর হাজ্জ।” (সহীহ বুখারী) আবূ হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত অপর একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “হাজীগণ ও ‘উমরাকারীগণ আল্লাহর সৈনিক, যদি তারা দু‘আ করে, তবে তার উত্তর (কবুল) দেয়া হয়, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করলে ক্ষমা করে দেয়া হয়।” (জামি‘ আত তিরমিযী)

 

হাজ্জ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ইবাদাত, একটি স্বতন্ত্র ভ্রমণ। এখানে নেই কোন প্রবৃত্তির লালসা, পার্থিব স্বার্থ ও মোহ। এ সফরের যাত্রা শুরু হয়ে থাকে ইহরাম বাঁধার মধ্য দিয়ে। পোশাকের কোন আভিজাত্য এখানে নেই; নেই ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও প্রভাবের কোন দ্বন্দ্ব। লক্ষ লক্ষ মুসলিম নগ্নমস্তক, শুভ্র পোশাক আর বিনীত কণ্ঠে তাদের রবের মহিমা গুঞ্জন করতে থাকে। ঘোষণা করতে থাকে তাঁর বড়ত্ব, শক্তি ও ক্ষমতার কথা। নিজের সকল দর্পকে চূর্ণ করে মহান রবের করুণা ও ভালবাসা লাভের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। সেলাই বিহীন দু’খ- পরিধেয় বস্ত্রের মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করে অপরাধী হিসেবে। ক্ষমা ও করুণা লাভের বিনীত আবেদনে গুঞ্জরিত করে তোলে আকাশ-বাতাস। ইহরাম হাজীদের অন্তরে ঈমানী চেতনা, ঐক্যের সৌধ ও আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগ্রত করে।

হাজ্জ পালনকালে তালবিয়া পাঠ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এর মাধ্যমে হাজ্জের কল্যাণ ও উপকারিতা বৃদ্ধি পায়। হাজ্জীর হৃদয়ে সৃষ্টি হয় ঈমানের সুমধুর ঝংকার। গোটা শরীরে সৃষ্টি হয় রূহানিয়াতের প্রবাহ। কাফন সদৃশ শ্বেত শুভ্র বসনে, ধূলি ধূসরিত ও বিবর্ণ মলিন বদনে হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ও উচ্ছ্বাস নিয়ে একজন হাজী যখন উচ্চারণ করে, “হে প্রভু! বান্দা উপস্থিত। তোমার কোন শরীক নেই, বান্দা উপস্থিত, সমস্ত প্রশংসা ও নি‘আমত তোমারই, মুলুক ও সার্বভৌমত্ব তোমারই, নেই তোমার কোন অংশীদার।” গোটা হাজ্জ অনুষ্ঠানই তখন হয়ে ওঠে জীবন্ত, প্রাণবন্ত। মধুময় হয়ে ওঠে আল্লাহ্ প্রেমের পথে তার এ যাত্রা। স্রষ্টার সকাশে সে হয় নিবেদিতপ্রাণ ও কৃতজ্ঞ।

হাজ্জের মধ্যে তাওয়াফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। এর মাধ্যমে বান্দার অন্তর সুদৃঢ় হয় এবং আধ্যাত্মিক জগতের পথ সুগম হয়। বায়তুল্লাহর তাওয়াফের নির্দেশ প্রদান করে মহান আল্লাহ বলেন, “সে সময়কে স্মরণ কর, যখন কা‘বা ঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তা স্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকেই সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর এবং ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে তাওয়াফকারী, ই‘তিকাফকারী, রুকূ ও সিজদাকারীদের জন্য আমার গৃহকে পবিত্র রাখতে আদেশ করেছিলাম।” (সূরা বাকারা: ১২৫)

হাজ্জ চলাকালে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যবহ। আদিকাল থেকেই মানুষ চুম্বন করে আসছে ঐতিহাসিক চেতনার নিদর্শন এ কাল পাথরকে। বিশ্ব মুসলিমের এক পরমাশ্চর্য স্মৃতিফলক এ ঐতিহাসিক প্রস্তরখ-। একে চুম্বন যেন গোটা মুসলিম জাহানকে স্পর্শ করা। এ পাথরের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, ইব্ন আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “হাজরে আসওয়াদ বেহেশত থেকে অবতীর্ণ, দুধের চেয়েও বেশি সাদা, বনী আদমের গুনাহ একে কাল বানিয়েছে।” (জামি‘ আত তিরমিযী) তিনি আরও বলেন, “আল্লাহর কসম! আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন একে দু’টি চক্ষুসহ উঠাবেন, যার দ্বারা সে দেখবে এবং একে বাকশক্তি দেয়া হবে। তাকে চুম্বনকারীদের পক্ষে সে সাক্ষ্য প্রদান করবে।”(মিশকাতুল মাসাবীহ)

হাজ্জ পালনকালে সা‘ঈ একটি বিশেষ ইবাদাত। সা‘ঈ করার মাধ্যমে হাজীগণ আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন। এটি স্মরণ করে দেয় নির্বাসিতা বিবি হাজেরার অন্ধের যষ্টি শিশুপুত্র ইসমাঈলের শুষ্ক কণ্ঠে নিঃসৃত বুকফাটা আর্তনাদ ও ক্রন্দনের কথা। মনে হয় মাতৃহৃদয়ের আকুল ক্রন্দন বিশ্ব মানবতার পুঞ্জীভূত বেদনা নিয়ে আজও যেন সাফা ও মারওয়ার মাঝে আল্লাহর করুণা ভিক্ষা করছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা বাকারা: ১৫৮)

৯ যিলহাজ্জ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান হাজ্জের একটি অন্যতম রুকন। আরাফায় বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকদের অবস্থান, প্রত্যেক দল কর্তৃক নিজ নিজ ইমামকে অনসরণ, হাশরের ময়দানে সকলকে উপস্থিত হওয়ার কথা এবং প্রত্যেক কওম নিজ নবীদের অনুসরণ করে তাদের শাফা‘আত প্রত্যাশা করার কথা স্মরণ করে দেয়। এতে নিজের মনকে আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ নিমগ্ন ও বিন¤্র রেখে করুণা প্রাপ্ত লোকদের দলভুক্ত হয়ে পুনরুত্থানের প্রত্যুত্তর পাওয়ার দৃঢ় আশা করা যায়। সব ধরনের লৌকিকতা ও পার্থিবতা পরিহার করে সকলের দৃষ্টি তখন শুধু আল্লাহর রহমতের অন্বেষণে আকাশের দিকে নিবদ্ধ থাকে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তাঁর মাগফিরাত লাভ করে জীবনকে ধন্য করা এবং আখিরাতে জান্নাত লাভের যোগ্য হওয়ার এক মহান প্রয়াস চালানো হয় এখানে।

হাজ্জের একটি বিশেষ পর্ব হচ্ছে কুরবানী। ১০ যিলহাজ্জ হাজীগণ মিনায় কুরবানী (হাদী যবেহ) করে থাকেন। এ কুরবানীর মাধ্যমে মুসলিমগণ আল্লাহর অনুসরণ ও তাঁর বিধানের প্রতি একনিষ্ঠ বশ্যতা এবং পার্থিব সম্পর্কশূন্য নির্ভেজাল আনুগত্যের শিক্ষা গ্রহণ করেন। বাস্তব প্রতিফলন ঘটায় তারা আল্লাহর স্বতঃস্ফূর্ত এ অঙ্গীকারের, “বল, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য।” (সূরা আল আন‘আম: ১৬২)

হাজ্জ পালনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের মধ্যে পারস্পারিক ঐক্য ও সৌহার্দ গড়ে ওঠে। সকলেই একই পোশাক, একই বিধিবিধান পালনের মধ্য দিয়ে সাম্যের এক অপূর্ব নযীর স্থাপন করে। মুসলিমগণ অনুভব করে লক্ষ্য, উদ্যেশ্য ও বিশ্বাসের একাত্মতা এবং বিশ্বমানবতার অবিভাজ্যতা। সর্বোপরি বলতে পারি, হাজ্জ মুসলিমদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমুখী এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। এটি মুসলিমের জীবনে বয়ে আনে শান্তির বার্তা ও অফুরন্ত কল্যাণ।

দুনিয়ার বাস্তবতা যা-ই হোক না কেন, প্রতি বছর হাজ্জের এই মহাসম্মেলন মুসলিমদেরকে এক বাস্তবসম্মত বৈশ্বিক ধারণা উপহার দেয়। নিজেদের ছোট্ট গোন্ডীর বাইরে গিয়ে পরস্পরকে অত্যন্ত কাছে থেকে জানা বুঝার সুযোগ এনে দেয়। দুঃখ-কষ্ট, সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করার সুযোগ সৃষ্টি করে। ইসলামী জীবনবিধানের উম্মাহ বা এক মিল্লাতের চেতনা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে করে আরো শাণিত। এর মধ্য দিয়ে উম্মাহ চেতনার লালন ও বিকাশ ঘটে। ছোট থেকে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির সুযোগ লাভ করে। মুসলিম উম্মাহ আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে শত সহস্র ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নেতৃত্বশূন্য জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ সব অভাব দূর করার এক অপূর্ব সুযোগ লাভ করে। সাথে সাথে সকল প্রকার শিরক ও বিদআত পরিহার করে তাওহীদের একনিষ্ঠ দূত হওয়ার তাগাদাও লাভ করে এই মহান ইবাদাত পালনের মধ্য দিয়ে সম্ভব। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই ইবাদাতের সকল প্রকার কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমীন।