কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি আবারও বাড়ছে

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি আবারও বাড়ছে

বানভাসি এক পরিবারের নৌকায় আশ্রয়। ছবি: ইউএনবি

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে আবারও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি। রবিবার সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রীজ পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে নদী দুটির অববাহিকায় থাকা প্রায় শতাধিক চরের নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া টানা বন্যার কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দী রয়েছে এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। বেড়ে চলেছে চিলমারীসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, রেললাইন ও বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষের দুর্ভোগ। দফায় দফায় বন্যার কারণে নিজেদের খাবারের পাশাপাশি গবাদী পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছে বানভাসীরা।

তিস্তার প্রবল স্রোতে গাবুরহেলান ও থেতরাইসহ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের তীব্রতায় শনিবার রাত পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টায় একটি স্কুলের পাশাপাশি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু বসতঘর।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয় শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।