বাঙালির স্বাধীনতা আর মুক্তিদাতার বিশুদ্ধ প্রেরণার নাম বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

বাঙালির স্বাধীনতা আর মুক্তিদাতার বিশুদ্ধ প্রেরণার নাম বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা

অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক ঝড়ঝাপটা এবং বিপদসংকুল সময়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সুখবোধের আবেশ তাঁকে কখনোই স্পর্শ করেনি কিন্তু পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে বাঙালির মুক্তির আদর্শিক সংগ্রামে বঙ্গমাতার এক তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ছিলো। তাঁর এ অন্তরালের অনন্য ভূমিকা অনেকেরই অজানা! 

বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের একনিষ্ঠ প্রেরণাদাত্রী বিজয়লক্ষ্মী মহীয়সী নারী। বঙ্গমাতাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতির ফার্স্ট লেডি হিসেবে দেখেননি। বঙ্গবন্ধুর পাশে রাষ্ট্রীয় বাহনে কিংবা রাস্ট্রীয় সফরে বিমানেও তাঁকে দেখা যায়নি কখনো। 

টুঙ্গীপাড়ার সেই অজ পাড়াগাঁয়ের কিশোরী মুখে গ্রাম্য ছাপ নিয়ে স্বামীর কারাবাসের দিনগুলোতে সন্তানদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে এসেছিলেন। গ্রামীণ সে সাধারণ দৃষ্টি ভংগী থেকে তিনি নিজেকে একটুও বদলাতে চাননি।

আটপৌরে শাড়ী আর পানের বাটা নিয়ে তিনি নিজ এবং বঙ্গবন্ধুর বিচিত্র রাজনৈতিক সংসার সামলাতে অনেক বেশী স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করতেন। 

এ দেশের রাজনৈতিক পালাবদল এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে অসীম  শক্তি-সাহস যুগিয়েছেন যে নারী, তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রচনায় যাঁর রয়েছে অসামান্য যুগান্তকারী অবদান। বঙ্গমাতার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

লেখক: কোষাধ্যক্ষ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।