অ্যাম্বুল্যান্সেও জীবিত ছিলেন সুশান্ত

অ্যাম্বুল্যান্সেও জীবিত ছিলেন সুশান্ত

অ্যাম্বুল্যান্স চালক অক্ষয় ভান্ডগড়--সুশান্ত সিং রাজপুত

 

আগেই বলেছিলেন, “১৪ জুন, সুশান্তের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই হুমকি ফোন পাচ্ছেন চতুর্দিক থেকে।” এবার আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক। বললেন, “হাঁটু মোড়ানো, একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন, পুরো শরীর হলুদ হয়ে গিয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সেও বেঁচে ছিলেন সুশান্ত। ওকে খুনই করা হয়েছে!” সুশান্ত মৃত্যুকে ঘিরে নিজের যুক্তির স্বপক্ষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক।
 
অক্ষয় ভান্ডগড় নামে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক সুশান্তকে বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ময়নাতদন্তের জন্য। সেদিনকার ঘটনাই তিনি পুঙ্ক্ষানুপুঙক্ষ বিবরণ দিয়েছেন। কী কী দেখে তাঁর মনে হয়েছে যে এটা আত্মহত্যা হতে পারে না, সেই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন তিনি।

ভান্ডগড়ের কথায়, আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে এমন বহু দেহ তিনি দেখেছেন! সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর বদ্ধমূল ধারনা, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে সুশান্তকে। কারণ সাধারণত কেউ আত্মহত্যা করলে তার শরীর হলদে হয় না। তবে হলেও পুরো শরীর কখনোই হলদে হয় না। দ্বিতীয়ত, সুশান্তের হাঁটু মোড়া ছিল। ” আত্মরক্ষার জন্য যখন কেউ হাত-পা চালান কিংবা লাথি মারার চেষ্টা করেন, তখন তাঁর পা যেভাবে মোড়া থাকে, সেভাবে মোড়া ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের পা।” দাবি অ্যাম্বুল্যান্স চালকের। তার ভিত্তিতেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, ”যে মানুষ সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর পা মোড়া থাকবে কেন? কীভাবেই বা তা সম্ভব?”

ভান্ডগড় আরও বলেন, “গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুললে গোটা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার দাগ থাকে। সুশান্তের ক্ষেত্রে তেমনটা ছিল না। শুধুমাত্র পায়ের নানা স্থানে দগদগে ক্ষত ছিল! এটা কীভাবে সম্ভব? দেখে মনে হচ্ছিল কেউ খুব জোরে পায়ে আঘাত করেছে।” এছাড়া গলার দাগ দেখেও তাঁর মনে সন্দেহ জাগে যে, এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুললে মুখ দিয়ে গেঁজলা বেরনোর কথা, সুশান্তের ক্ষেত্রে সেসবও কিছুই হয়নি। জানান অ্যাম্বুল্যান্স চালক অক্ষয় ভান্ডগড়।

অন্যদিকে সুশান্তের বাবার সঙ্গে অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে অভিনেতার বাবাকে সাফ শ্রুতির সঙ্গে অভিনেতার মানসিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কেকে সিং শ্রুতিকে জানিয়েছিলেন যে, সুশান্ত তাঁকে বলেছে মন ভাল নেই। তাই তিনি ছেলেকে দেখতে আসতে চান মুম্বইয়ে। শুধু তাই নয়, ফ্লাইটের টিকিট কেটে যেন তাঁকে পাঠানো হয়, সেকথাও হোয়াটসঅ্যাপে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজারকে জানান তিনি। তবে সবকিছুর পর একটাই প্রশ্ন ওঠে, এতদিন কেন ছেলের মৃত্যু নিয়ে চুপ থেকেছেন তিনি। এতটা দেরি কেন করলেন মুখ খুলতে? উত্তর অধরাই। মৃত্যু তদন্তের জট কাটাতে এখন সিবিআই-ই ভরসা! বলছেন নেটিজেনরা।