ইসলামে সমাজসেবা

ইসলামে সমাজসেবা

সংগৃহিত

কবি শেখ সাদী রহ. বলেন,

                   “সেজদা ও তসবিহ দেখে, খোদ এলাহি ভুলবে না

                           মানবসেবার কুঞ্জি ছাড়া স্বর্গদ্বার খুলবে না”

সামাজিক জীবন মানষের জন্য বিকল্পহীন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়েই মানুষ এখানে বসবাস করে। সুতরাং সমাজের সেবা মানে মানুষের জন্য মানুষের সেবাকে বুঝায়। সমাজের মানুষকে সহযোগিতা করা, সমাজ ও দেশের উন্নতিকল্পে কাজ করাকেই আমরা সমাজসেবা বলি। অন্যকথায়, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য সক্রিয় কল্যাণ কামনাই সমাজসেবা। পৃথিবীর ধর্ম ও মতাদশে সমাজসেবাকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। পাশ্চাত্য শিক্ষাবিদ Ruskin বলেন, “There are three kinds of duties; duties towards God, duties towards parents and duties towards mankind.” ইসলামী জীবনব্যবস্থায় সমাজসেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ইসলাম এটিকে তাকওয়াপূর্ণ কাজের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “পূর্ব ও পশ্চিম দিকে মুখ ফেরানোর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, বরং কল্যাণ রয়েছে আল্লাহ, শেষ বিচারের দিন, ফেরেশতাগণ, আসমানী কিতাব ও নবীদের উপর বিশ্বাসে এবং আল্লাহ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, অভাবগ্রস্ত, গৃহহীন ও প্রার্থীদের সাহায্যার্থে নিজ সম্পদ বিতরণে, দাসত্ব মোচনের ব্যয়ে...।” (সূরা বাকারা: ১৭৭)

ইসলামে সমাজসেবা কার্যক্রম কেবল মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং ইসলাম সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ও কল্যাণ নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এ হিসেবে সমাজসেবামূলক সকল কার্যক্রম ইসলামে ইবাদাত হিসেগে গণ্য। তবে এটি হতে হবে নিঃস্বার্থ সমাজসেবা। ইসলামে সমাজসেবার পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। যেমন, রোগীর চিকিৎসা করা, দুর্যোগ পীড়িত মানুষের সেবা, যত্ন ও সাহায্য-সহযোগিতা করা, কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, অনাহারী মানুষের আহার যোগানো, পিপাসার্ত মানুষের পিপাসা নিবারণ, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র প্রদান, অসহায়, নিঃস্ব ও দরিদ্রদের আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা করা, আশ্রয়হীন ও কর্মক্ষম ও প্রতিবন্ধী মানুষের পুনর্বাসন, দারিদ্র্য বিমোচন, রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি ও সেতু নির্মাণ, পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষ রোপণ, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিশৃঙখলা ও সন্ত্রাস দূরীকরণ, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি স্থাপন এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান প্রভৃতি সমাজসেবার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজসেবা কার্যক্রম শুধু মানবিকই নয়; বরং একটি মৌলিক দায়িত্ব। মুসলিমদের জন্য এটি উম্মাহগত পরিচয়ও বটে। আবূ হুরায়রা রা. রাসূলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন, “প্রতিদিন মানুষের শরীরের প্রতিটি জোড়ার বিপরীতে সাদাকাহ করা আবশ্যক। দুই ব্যক্তির মধ্যে ন্যায়বিচার করা একটি সাদাকাহ, নিজের বাহনে কাউকে বহন করা বা তার পণ্য বহন করা একটি সাদাকাহ, ভাল কথা একটি সাদাকাহ, সালাতের উদ্দেশ্যে চলা প্রতিটি পদক্ষেপ একটি সাদাকাহ, রাস্তা থেকে কষ্টকর জিনিস অপসারণ করা একটি সাদাকাহ।” (বায়হাকী: ৩০৫৭)

শুধু তাই নয়। সমাজসেবার জন্য অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন মেটাতে অত্যাবশ্যকীয় ব্যয় যাকাতের সাথে সাথে নানা রকমের দানশীলতাকে ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, “লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে তারা কি ব্যয় করবে? বলে দিন, উদ্বৃত্ত সম্পদ।” (সূরা বাকারা: ২১৯)

সমাজসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘করযে হাসানাহ’। যারা আর্থিকভাবে কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করেন, তাদেরকে ‘করযে হাসানাহ’ প্রদানের মাধ্যমে কষ্ট দূর করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “কে সে, যে আল্লাহকে করযে হাসানাহ প্রদান করবে? তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন। আর আল্লাহ সংকুচিত ও সম্প্রসারিত করেন এবং তাঁর পানেই তোমরা প্রত্যানীত হবে।” (সূরা বাকারা: ২৪৫) সমাজসেবার একটি অন্যতম দিক হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করা। রাসূলুল্লাহ সা. বিষয়টিকে অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি কারও অসুস্থতার সংবাদ পেলে তার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য তার বাড়িতে গমন করতেন। তিনি রোগীর কপালে হাত রেখে তাকে সান্ত¦না দিতেন এবং তার জন্য দোয়া করতেন। জাবির রা. বলেন, “একবার আমি ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ সা. আমার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য আমার কাছে আসলেন। তিনি আমাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পেলেন। রাসূলুল্লাহ সা. অযূ করলেন এবং অযূর পানি আমার শরীরে ছিটিয়ে দিলেন। ফলে আমি জ্ঞান ফিরে পাই।” (সহীহুল বুখারী: ৫২৭৪) ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার প্রদান একটি অন্যতম সমাজসেবামূলক কাজ। রাসূলুল্লাহ সা. এটিকে ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “সে ব্যক্তি মু’মিন নয়, যে উদর পূর্তি করে আহার করে অথচ তার প্রতিবেশী তার পাশে অভুক্ত থাকে।” (মিশকাতুল মাসাবীহ)

পিপাসার্ত মানুষের পিপাসা মেটানো গুরুত্বপূর্ণ সমাজসেবামূলক কাজ। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, “যে মুসলিম কোন পিপাসার্ত মুসলিমকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের পবিত্র প্রতীকধারী শরাব পান করাবেন।” (আবূ দাউদ) রাসূলুল্লাহ সা. বস্ত্রহীন ব্যক্তিকে বস্ত্র প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন বস্ত্রহীন মুসলিমকে বস্ত্র প্রদান করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের সবুজ রেশমি কাপড় পরিধান করাবেন। (আবূ দাউদ) রাসূলুল্লাহ সা. একদিকে জীবিকা আহরণকে ফরয হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন, অন্যদিকে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে বেকারত্ব দূরীকরণের ব্যবস্থা করেছেন। রাসূলুল্লাহ সা. জনৈক সাহাবীর হাতে কুঠার তুলে দিয়ে ভিক্ষুকের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করেন। এতে তিনি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সন্ধান লাভ করেন। সমাজে অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যারা আশ্রয়হীন, উপার্জনক্ষম, পিতৃহীন, পঙ্গু, বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী। ইসলামী বিধানমতে, এদেরকে পুনর্বাসন ও লালন-পালনের দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য তাদের নামে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জমি, বাগান বা জলাশয় বরাদ্দ করা অন্যতম সমাজসেবামূলক কাজ। সমাজসেবার অন্যতম লক্ষ্য হলো সমাজকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। এজন্য ইসলাম প্রবর্তিত অর্থনৈতিক নীতিমালা তথা যাকাত, ওশর ও বায়তুলমালের সঠিক প্রয়োগ বাঞ্ছনীয়। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সমাজসেবার অন্যতম দিক। ইসলাম এ ব্যাপারেও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। “একবার রাসূলুল্লাহ সা. মসজিদের দেয়ালে থুথু দেখতে পেলেন। এটি তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠল। তিনি উঠে গিয়ে তা স্বহস্তে পরিষ্কার করলেন এবং বললেন, তোমাদরে কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে। কাজেই তোমাদের কেই যেন কেবলার দিকে থুথু না ফেলে।” (সহীহুল বুখারী: ৩৯৬)

পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপন সমাজসেবার অন্যতম লক্ষ্য। রাসূলুল্লাহ সা. বৃক্ষরোপনের ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোন মুসলিম যদি গাছ লাগায় কিংবা ফসল উৎপন্ন করে আর তা থেকে পাখি কিংব মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু কিছু খায় তবে তা তার পক্ষ থেকে দানস্বরূপ হবে।” (সহীহ মুসলিম) জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা সমাজসেবার অন্যতম উদ্দেশ্য। কারো সম্পদ নষ্ট করা বা কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা করা ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে বিদায় হাজ্জের ভাষণে রাসূলূল্লাহ সা. বলেন, “তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের মান-সম্মান তোমাদের জন্য পবিত্র, যেমন পবিত্র তোমাদের আজকের এ দিন, তোমাদের এ শহর ও তোমাদের এ মাস। তোমরা অচিরেই তোমাদের রবের সাথে মিলিত হবে। তখন তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। খবরদার! তোমরা আমার ইন্তিকালের পরে পথভ্রষ্টতায় ফিরে যেও না।” (সহীহুল বুখারী) এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, “কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তাঁর প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লা‘নত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন।” (সূরাহ নিসা: ৯৩)

দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা করা সমাজসেবার অন্যতম লক্ষ্য। ইসলাম এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। রাসূলুল্লাহ সা. দুর্যোগ কবলিত মানুষের সেবায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে আত্মনিয়োগ করেছেন। হিজরতের ৫ম বা ৬ষ্ঠ বছরে মক্কায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে রাসূলুল্লাহ সা. সেখানে পাঁচশত দিরহামের ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেন। মক্কাবাসীর এ দুর্যোগে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে কুরাইশ নেতা আবূ সুফিয়ানের কাছে একটি পত্রও প্রেরণ করেন। পরিশেষে বলতে পারি, ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবনাদর্শ। মানবজীবনের সকল দিক ও বিভাগে এটি পরিব্যাপ্ত। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়েই ইসলামের আবির্ভাব। ইসলাম সমাজসেবা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করণের মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজজীবনকে সার্বিক উন্নতির পথে নিয়ে যেতে চায়। ইসলামী অনুশাসনের তাগিদেই যুগ পরম্পরায় মানুষ সমাজের দুঃস্থ, অবহেলিত ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। সমাজজীবনে সাম্য, শান্তি, সহমর্মিতা, ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধানে ইসলাম সমাজসেবার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম বিভিন্নভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে এখানে সমাজসেবা কার্যক্রমকে জোরদার করার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন:

  • ব্যাপকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এনজিও প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এর কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশেষ করে যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
  •  ব্যাপকভিত্তিক শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। সুস্থ ধারার সংস্কৃতি মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
  •  গ্রামভিত্তিক দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তুলতে হবে এবং এর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষ করে একেবারে কাজের ক্ষমতাহীন অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, অভাবী মা ও শিশুদের প্রতি আরো যত্নবান হতে হবে।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট মেরামত ও তৈরির জন্য সামাজিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। • মসজিদভিত্তিক সামাজিক কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। এর মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
  • প্রতিটি গ্রাম বা ওয়ার্ডে গণশিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
  • হাট-বাজারের ব্যবস্থাপনা উন্নত ও সংস্কার করতে হবে।
  • প্রত্যেক পাড়ায়-মহল্লায় ক্লাব, সমিতি, শরীরচর্চা কেন্দ্র ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ক্লাব, সমিতি বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে যাকাত আদায় করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুঃস্থদের পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
  •  সামাজিক অনুষ্ঠানাদি যেমন, বিবাহ-শাদী, কাফন-দাফন ও জানাযায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
  • গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সমাজসেবা অতি মহত একটি কাজ। কুরআন কারীমে ঈমানের সাথে যে আমালে সালেহকে সংযুক্ত করা হয়েছে অধিকাংশ স্থানে- তা বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম প্রধান মাধ্যম এটি। তবে তার মধ্যে ঈমান ও ইখলাস থাকতে হবে। ইবাদাত কবুলের সকল শর্তই এখানে প্রযোজ্য হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির জন্য সকল কাজ করার তাওফিক দিন। আমীন।

সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ