গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা

গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা

ছবি: সংগৃহীত

বেলুনের সাহায্যে ইরানে ফায়ারবোমা ও রকেট হামলার কথিত অভিযোগে রোববার গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গত এক সপ্তাহ ধরেই রাতের বেলা এমন হামলা চালাচ্ছিল তারা। সেনাবাহিনী বলেছে, শনিবার দিবাগত রাতে গাজা-ইসরাইল সীমান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ইসরাইলের সেনাবাহিনীর দাবি, এ সময় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি ‘দাঙ্গাকারী’ টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিস্ফোরক পদার্থ ও গ্রেনেড ছোড়ে নিরাপত্তা বেড়া লক্ষ্য করে। এক পর্যায়ে তারা এর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে একটি সেনা কম্পাউন্ডে এবং একটি আন্ডারগ্রাউন্ডে। এগুলো হামাসের দখলে ছিল।

রোববার দিনের শুরুতে ইসরাইলি বাহিনী বলে, তাদের দিকে গাজা থেকে দুটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে ইসরাইল তার আয়রন ডোম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে তা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
হামলার জবাবে হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহোম বলেছেন, এই আগ্রাসী নীতি গাজায় আমাদের জনগণের জীবনকে আরো সঙ্কটময় করে তুলেছে। তাদের নিত্যদিনের জীবনধারাকে বিকল করে দিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে বিঘ্নিত করছে। অথচ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দেশগুলো এ বিষয়ে নীরব। গাজা উপত্যকার সঙ্গে পণ্য পরিবহনের সীমান্ত পয়েন্ট কারিম আবু সালেম বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবারের সংঘর্ষ ও রকেট হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী পুরো গাজা উপত্যকায় ফিশিং জোন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।


উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের এই অঞ্চলটি ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইলের অবরোধের অধীনে আছে। হামাসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ করে গাজা উপত্যকা স্থাল ও নৌপথে অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। এই গাজা উপত্যকায় বসবাস ২০ লাখ মানুষের। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি বসবাস করেন দারিদ্র্যে। গত বছর জাতিসংঘ, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে আসে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে রকেট হামলা, মর্টার হামলা ও নানা রকম হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। আল জাজিরা