রাশিয়ার দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কারে রহস্য কী?

রাশিয়ার দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কারে রহস্য কী?

করোন ভ্যাকসিন। ফাইল ছবি।

মহামারীর হাত থেকে রেহাই পেতে প্রতিষেধক আবিষ্কারে মরিয়া হয়ে উঠছে বিভিন্ন দেশ। এরেই মধ্যে করোনা মোকাবিলার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে বলে দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু কীভাবে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করল পুতিনের দেশ? কীভাবে এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন বাজারে আনল তাঁরা? সেই রহস্য উদঘাটন করল রাশিয়া।
 
রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী এটিই পৃথিবীর প্রথম কার্যকরী করোনা ভ্যাকসিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছেন, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী এবং এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু পুতিনের সেই দাবি মানতে নারাজ বিশ্বের অনেক দেশই। তাঁদের প্রধান অভিযোগ, রাশিয়ার এই করোনা ভ্যাকসিন এখনও মানব ট্রায়ালের সমস্ত ধাপ উত্তীর্ণ হয়নি। তাই এর কার্যকারিতা সংশয়াতীত নয়। কিন্তু এত দ্রুত কীভাবে তৈরি করা গেল এই ভ্যাকসিন?

রাশিয়া বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে রুশ বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। তাকে কাজে লাগিয়েই মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন। সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে ইতিমধ্যেই www.sputnikvaccine.com নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে রুশ প্রশাসন। রুশ বিজ্ঞানীদের দাবি, যে পদ্ধতিতে ইবোলার ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছিল, সেই পথে হেঁটেই আবিষ্কার হয়েছে ‘স্পুটনিক ফাইভ’। ভ্যাকসিন তৈরিতে অ্যাডিনো ভাইরাসের ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভাইরাসের জিনের সঙ্গে অন্য ভাইরাসের প্রোটিন মিশিয়ে তৈরি হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত করোনার ভ্যাকসিন’। অক্সফোর্ড, আমেরিকা, চিনের বিভিন্ন সংস্থাও ভ্যাকসিন তৈরিতে অ্যাডিনোভাইরাস ব্যবহার করছে। কিন্তু, উন্নতমানের প্রযুক্তি আছে শুধু রাশিয়ার হাতেই।

প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভ্যাকসিন তৈরিতে অ্যাডিনোভাইরাসের ব্যবহার করা হবে। সেইমতো অ্যাডিনো ভাইরাসের জিন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। একইসঙ্গে অন্য ভাইরাসের প্রোটিন নিয়েও গবেষণা চলছিল। সেইমতো নতুন জিন ও প্রোটিনের মিশ্রণে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন। রাশিয়ার দাবি, এই প্রক্রিয়ায় কয়েক মাসেই ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব হল।