পাবনায় বন্ধু হত্যার দায়ে স্কুলছাত্রের তের বছরের আটকাদেশ

পাবনায় বন্ধু হত্যার দায়ে স্কুলছাত্রের তের বছরের আটকাদেশ

বিচার।

পাবনা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু হত্যা মামলায় সহপাঠী ফয়সাল জামান শুভকে ১৩ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামি শামসুজ্জামান সিয়ামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রোস্তম আলীর আদালত এই রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষার্থী মিশু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ফয়সাল ও সিয়াম অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মামলা শিশু আদালতে বিচার করা হয়। অভিযুক্ত অপর আসামি আব্দুল হাদি ও  সান প্রাপ্ত বয়স্ক। নিয়মিত আদালতে তাদের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান খান জানান, মিশু হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মো. ফয়সাল জামান শুভর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে দশ বছরের আটকাদেশ ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা ও অন্য একটি ধারায় আরো তিন বছরের আটকাদেশ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো নয় মাসের আটকাদেশ দিয়েছেন। 

যশোর কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে এ আটকাদেশ কার্যকর করা হবে। মামলার অপর আসামি মো. শামসুজ্জামান সিয়ামের অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। 

তবে মামলার রায়ে বাদী মো. মহসিন আলম সন্তুষ্ট না হওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সহপাঠী শুভ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মিশুকে বাড়ি থেকে ডেকে শহরের সিংগা এলাকার খানের লিচুবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে যোগ দেয় মো. আবদুল হাদি ও সান। তারা মিশুর বাবার কাছে মোবাইলে মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চাঁদা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। চাঁদা না পেয়ে তারা মিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় মিশুর বাবা মো. মহসিন আলম সালাম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তিন বছর শুনানি শেষে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করেন। 

মিশু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান ও অ্যাডভোকেট সালমা খাতুন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন মিয়া মামলা পরিচালনা করেন।