দেশব্যাপী ডেঙ্গু মহামারী রুপ ধারণ করছে

দেশব্যাপী ডেঙ্গু মহামারী রুপ ধারণ করছে

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে রাজধানীর বাইরে দেশের বেশির ভাগ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। সরকারি হিসাবেই ২৩ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য রয়েছে। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি। একই সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।

সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ওষুধ ছিটাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহায় ঢাকা থেকে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই জ্বরে আক্রান্তদের ঈদে রাজধানী না ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সহজসাধ্য করতে সরকারি হাসপাতালে এ রোগের পরীক্ষা ও ওষুধপত্র বিনামূল্যে করার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্যালাইন ও ওষুধের দাম না বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সরকারি হিসাবে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৯২১ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ৫৪০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২৪, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৯৪, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১৭, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২০৭, বারডেমে ৩৯ জন।

এছাড়া ঢাকার বাইরে গাজীপুরে ৭৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৭, কিশোরগঞ্জে ৫৪, নারায়ণগঞ্জে ১৩, চট্টগ্রামে ৫৭, ফেনীতে ৫১, কুমিল্লায় ১, চাঁদপুরে ৩৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০, লক্ষ্মীপুরে ৮, নোয়াখালীতে ৯, কক্সবাজারে ৬ জন ভর্তি আছেন।

খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩১ জন, কুষ্টিয়ায় ৩২, যশোরে ২২, ঝিনাইদহে ১১, বগুড়ায় ৬০, পাবনায় ২৯, সিরাজগঞ্জে ৮, নওগাঁয় ২, রাজশহীতে ৩৮, বরিশালে ৩৫ এবং সিলেটে ১৩ জন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কেউ যদি গ্রামের বাড়িতে যায়, তাহলে তার মাধ্যমে এ রোগ দ্রুত ওই এলাকার অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

এ প্রসঙ্গে মুগদা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম শামসুজ্জামান বলেন, এডিস মশার দুটি জাত রয়েছে। একটি এডিস ইজিপ্টি। এটি শহুরে মশা। এর মাধ্যমেই ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়েছে। আরেকটি এডিস এলবোপিকটাস।

এটি মূলত গ্রাম এলাকার মশা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে, এই মশাও ধীরে ধীরে ডেঙ্গুর বাহকে পরিণত হয়েছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী গ্রামে গেলে এডিস এলবোপিকটাস মশার মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়াই স্বাভাবিক।

এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের গ্রামের বাড়িতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। অনেক গ্রামে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক থাকে না।

সেক্ষেত্রে সুচিকিৎসার অভাবে আক্রান্ত রোগীর প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ অবস্থায় বাড়িতে না যাওয়াই ভালো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার কামড় খেয়ে জ্বর নিয়ে কেউ গ্রামে গেলে এবং ওই আক্রান্ত ব্যক্তিকে গ্রামের মশা কামড়ালে সেই মশার মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমিত হয়ে অন্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সে কারণে জ্বর নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া মানে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়া।

তিনি বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসারত ডেঙ্গু রোগীদের বিষয়ে জানতে পেরেছি, বেশির ভাগের ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়ছে। এ কারণেই আমরা আসন্ন ঈদে রাজধানীবাসী যাদের শরীরে জ্বর থাকবে তাদের গ্রামে ঈদ করতে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

ইতিমধ্যে দেশের ডেঙ্গুর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সবচেয়ে বেশি ৮২৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৫৪ জন। এর মধ্যে গত ২৮ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৫১০ জন।

ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ : বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগের সব ধরনের পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া সব সরকারি হাসপাতালে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র বিনামূল্যে প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে অধিদফতর।

রোববার বিকালে অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, তত্ত্বাবধায়কদের বলা হয়েছে ডেঙ্গু নির্ণয়ের সব পরীক্ষা এবং রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করতে। এখন অর্থবছরের প্রথম ভাগ।

তাই কোনো হাসপাতালের টাকার অভাব থাকার কথা নয়। তাছাড়া যেসব হাসপাতালে বেশিসংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে প্রয়োজনে সেসব হাসপাতালে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।

তিনি জানান, সকালে অধিদফতরে রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ মোকাবেলায় প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হল- ১. ডেঙ্গু নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা মূল্য ক) (NS1) সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা। রোববার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার ফি নেয়া হতো ১২শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। খ) (IgM + IgE) অথবা (IgM/IgE) পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।

বেসরকারি হাসপাতালগুলো এ পরীক্ষার ফি নেয় ৮শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা। গ) CBC (RBC + WBC + Platelet + Hematocrit)- সর্বোচ্চ ৪শ’ টাকা। এই পরীক্ষা করতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো নেয় এক হাজার টাকা।

অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই তালিকা রোববার থেকেই কার্যকরে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই মূল্য তালিকা কার্যকর থাকবে। এছাড়া সভায় আরও যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেগুলো হল- ২) সব প্রাইভেট হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ চালু করা ৩) সব বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, ৪) ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল বাড়ানো।

মাঠে নেমেছে ১০ মনিটরিং টিম : রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে রোববার মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১০ মনিটরিং টিম। এ মনিটরিং টিমগুলো প্রতিদিন সরেজমিন বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় যে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা দেখবে মনিটরিং টিম। প্রতি টিমে কমপক্ষে তিনজন করে কর্মকর্তা থাকবেন।

বিএসএমএমইউর ডেঙ্গু সেল : ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৪০ শয্যাবিশিষ্ট ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা সেল চালু করা হয়েছে। শনিবার উদ্বোধন করা এই সেলে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬ শিশুসহ মোট ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে বিএসএমএমইউর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগেও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন শেষে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে ‘বালখিল্য’ মন্তব্য করার অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং মশা নিধনে ব্যর্থ হওয়ায় দুই সিটি মেয়র সাঈদ খোকন ও আতিকুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেন প্রতিবাদকারীরা। পাশাপাশি তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।

ঢাকার বাইরের চিত্র : ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ জনের অধিক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. শামছুর রহমান। তিনি বলেন, গত দু-তিন সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০-১২ জন ডেঙ্গুজ্বরের রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী, বাকিরা কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোববার নগরীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলে নতুন আরও ৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে, চলতি মাসে এ নিয়ে চলতি মাসে মোট ৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবমিলে চলতি বছর চট্টগ্রামে ৬১ জন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

বগুড়ায় রোববার বিকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৬ নারীসহ ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রংপুরে এ পর্যন্ত মোট ২৯ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অনেকে ভর্তি রয়েছেন। সিলেট বিভাগজুড়ে ১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিলেট মহানগরীতে ২ জন, মৌলভীবাজারে ১১ জন, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় ৩ জন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৭ জন রোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শনিবার ৩ জন এবং রোববার ৪ জন রোগী ভর্তি হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেনে।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩ জন, শেরপুরে ৬ জন, দিনাজপুরে ৫ জন, লালমনিরহাটে ১ জন, বরিশালে ২৫ জন, কিশোরগঞ্জে ৬২ জন, কুমিল্লায় ২৭ জন, পাবনায় ২৯ জন, গাজীপুরে ২০ হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। বরিশালের গৌরনদীতে ১ জন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ২ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।