শিপ্রার কক্ষ থেকে জব্ধ সরঞ্জামের তালিকায় গরমিল, ক্ষমা চাইলেন রামু থানার ওসি

শিপ্রার কক্ষ থেকে জব্ধ সরঞ্জামের তালিকায় গরমিল, ক্ষমা চাইলেন রামু থানার ওসি

শিপ্রা রানী দেবনাথ


কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন। তাঁর সহকর্মী শিপ্রা রানী দেবনাথের কক্ষ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে রামু থানা পুলিশ। জব্ধ সরঞ্জামের তালিকায় গরমিল থাকায় আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে রামুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যার পর তাঁর সহকর্মী শিপ্রাকে আটক করে রামু থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা মালামাল নিয়ে ২টি জব্দ তালিকা করেন রামু থানার ওসি আবুল খায়ের। কেন দু’টি জব্দ তালিকা করা হয়েছে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই মেজর (অবঃ) সিনহাকে হত্যা করার পর হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালায় পুলিশ। রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার করে স্টামফোর্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রাকে। রামু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার জব্দ তালিকায় দেখানো হয় বিদেশি মদের ৪টি বোতল, ২ পোটলা গাঁজা ও কিছু মাদক দ্রব্য। এই সময়ে শিপ্রার কক্ষ থেকে উদ্ধার ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, মোবাইলসহ ২৯ রকমের সরঞ্জাম তালিকায় আনা হয়নি। পরে পৃথক আরেকটি জব্ধ তালিকা তৈরি করে পুলিশ। শুনানিকালে আদালত কেন দু’টি জব্দ তালিকা জানতে চান। এই বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলেন রামু থানার ওসিকে। পরে আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত সকল সরঞ্জাম র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।